ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন ঘাতসহনশীল জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষক-বিজ্ঞানীদের আরও কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
Advertisement
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে দেশে নানান চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষক-বিজ্ঞানীদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। গবেষণায় বেশি সময়দান, নিজ কর্মস্থলে অবস্থান ও মানসম্পন্ন গবেষণা করতে হবে। ৯-৫টা সময়ে সীমাবদ্ধ না থেকে গবেষণাকর্মে নিয়োজিত থাকতে হবে।
রোববার (১০ অক্টোবর) গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উদ্ভাবিত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তিকে দ্রুত কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাগিদ দেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, উদ্ভাবন করে বসে থাকলে হবে না। দ্রুত কৃষকের নিকট, মাঠে সম্প্রসারণ করতে হবে। কৃষকের হাতে উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি যেতে অনেক ক্ষেত্রে ৮-১০ বছর লেগে যাচ্ছে, এটা কোনমতেই কাম্য নয়। উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের এই গ্যাপ কমাতে হবে।
Advertisement
এর আগে কৃষিমন্ত্রী নতুন স্থাপিত উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ও মৃত্তিকা বিজ্ঞানের ২টি আধুনিক ল্যাব ও প্রযুক্তি প্রদর্শনী স্টল পরিদর্শন করেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্যঘাটতি নেই। আলু, শাকসবজি ও ফলমূলসহ বিভিন্ন ফসল-খাদ্য আমাদের উদ্বৃত্ত। এ উদ্বৃত্ত ফসল সারা পৃথিবীতে আমরা রপ্তানি করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সমাপ্ত। গত ১ বছরে কৃষিপণ্যের রপ্তানি অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া এই নতুন ল্যাবগুলো থেকে সার্টিফিকেট দিলে সারা বিশ্বেই তা গ্রহণযোগ্য হবে। ফলে সামনের দিনগুলোতে রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
বারির মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, বিএআরসির সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. জহুরুল করিম, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বারির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক (অব.) কাজী এম বদরুদ্দোজা, বারির পরিচালক ড. মো. তারিকুল ইসলাম, ড. মো. কামরুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
Advertisement
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ২১১টি ফসল নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকারের শাসনামলে বারি ৩০৬টি উন্নত জাত এবং ৩৬৩টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।
এনএইচ/ইউএইচ/জিকেএস