আন্তর্জাতিক

বিশ্বে আরও ৭৬১১ মৃত্যু, শনাক্ত ৪৪২৯১২

বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও সাত হাজার ৬১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন চার লাখ ৪২ হাজার ৯১২ জন। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৪৬ হাজার ৯৯৮ জন।

Advertisement

শনিবার (৯ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে ৪৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর মোট শনাক্ত হয়েছেন ২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫ জন। এর মধ্যে ২১ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার ২৬৬ জন সুস্থ হয়েছেন।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ। আর মৃত্যু হয়েছে প্রায় দুই হাজার মানুষের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৫১ লাখ ৩৫ হাজার ৬২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে সাত লাখ ৩২ হাজার ৪৭৭ জনের। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন তিন কোটি ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৬ জন।

Advertisement

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন তিন কোটি ৩৯ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৫০ হাজার ৪০৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার ৭০৩ জন।

তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৭৩০ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ৪৯৩ জন। আর সেরে উঠেছেন দুই কোটি ছয় লাখ ৬৫ হাজার ২৭৩ জন।

তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও ইতালি।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৯ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৩ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৬৫৪ জন। আর ১৫ লাখ ২২ হাজার ৫৯৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

Advertisement

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।

সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের করোনা পরিস্থিতি ফের খারাপ হয়।

এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ ও শিশুদেরও টিকাদান শুরু করেছে।

ইএ/এএসএম