দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আবাসন চাহিতা মেটাতে গ্রামীণ এলাকায় যত্রতত্র নির্মিত হচ্ছে নতুন বাড়ি-ঘর। এতে প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ আবাদী জমি। এ অবস্থা থেকে কৃষিজমি রক্ষায় পল্লী এলাকার নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।এ জন্য বহুতল বিশিষ্ট উন্নত আবাসন সুবিধা সৃষ্টিতে সরকারের একমাত্র গৃহঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) ‘বাংলাদেশ পল্লী আবাসনে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে দেশের ২২টি এলাকায় মোট ৩৭৫টি চারতলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিভবনে ইউনিট সংখ্যা হবে ৮টি। এতে ৩ হাজার ইউনিটে অন্তত ১৮ হাজার মানুষ উন্নত আবাসন সুবিধা পাবে।এ প্রসঙ্গে বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. নুরুল আলম তালুকদার জানান, গ্রামাঞ্চলে ফসলী জমির যথেচ্ছা ব্যবহার রোধে বহুতল ভবনে কমিউনিটি আবাসনের এ প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে কৃষিজমি ও পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি গ্রামের মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত নাগরিক সুবিধা পাবেন।৫ বছর মেয়াদী এই প্রকল্প প্রস্তাব ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।‘বাংলাদেশ পল্লী আবাসনে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা’র এ প্রকল্প হতে প্রতিটি গৃহ ইউনিট নির্মাণে একক ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয়া যাবে। ঋণের সুদহার হবে বার্ষিক ৬ শতাংশ। ২০ বছর মেয়াদে পরিশোধযোগ্য এ ঋণে এক লাখ টাকার ঋণগ্রহীতাকে প্রতিমাসে ৭১৭ টাকা হারে কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। মেয়াদশেষে একজন গ্রহীতা ১০ লাখ টাকার বিপরীতে পরিশোধ করতে হবে মাত্র ১৭ লাখ ২০ হাজার ৮০০ টাকা। -বাসস
Advertisement