ক্যাম্পাস

দেড় বছর পর ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা, উৎসবমুখর জবি

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমায় প্রায় দেড় বছর পর দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা-কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৫৬৮ দিনের বিরতির অবসান ঘটলো। দেড় বছর পর যেন প্রাণ ফিরে এলো জবি ক্যাম্পাসে। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয় ক্যাম্পাস। বিভিন্ন রুট থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে জবির বাসগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায়, কাঁঠাল তলা, শান্ত চত্বরে শিক্ষার্থীদের সেই চিরচেনা আড্ডা। সবমিলিয়ে বহুদিন পর আবার সেই চিরচেনা প্রাণবন্ত উৎসব ফিরে এলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায়।

তবে দীর্ঘদিনের বিরতির সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। রয়েছে সেশনজটের চাপ। তাছাড়া পরীক্ষার জন্য সারাদেশ থেকে আবারও ক্যাম্পাসমুখি হয়েছে শিক্ষার্থীরা। পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মেস ভাড়া করে থাকা শুরু করেছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহমুদা ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার মাত্র তিনমাস পরই ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যায়। তারপর দীর্ঘ দেড় বছরের প্রতীক্ষা। এতটা দিন খুব মিস করেছি জবিকে। পরীক্ষার মাধ্যমে আবারও ক্যাম্পাসে ফিরতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সিলভিয়া রহমান বলেন, অনেকদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিরতে পেরে খুব ভালো লাগছে৷ পাশাপাশি অনেক শঙ্কায়ও আছে। শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলে এতদিনে আমার তৃতীয় বর্ষের একেবারে শেষদিকে থাকার কথা। সেখানে এখন কেবল দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছি। প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সেজনজটের শঙ্কায় আছেন শিক্ষার্থীরা।

সেজনজট কীভাবে কমিয়ে আনা যায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস বলেন, করোনার ভেতরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিচ্ছে এটা অনেক বড় ব্যাপার। আমাদের পরীক্ষা শুরু মানে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা। আর সেশনজট নিয়ে আমাদের আপাতত পরিকল্পনা নেই। আগে পরীক্ষা হোক তারপর আমরা সেজনজট কীভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে সিন্ধান্ত নেব।

এমএএইচ/জিকেএস

Advertisement