অ্যানাদার পার্সন
Advertisement
সেদিন দিনের আলো চইলা যাওয়ার পর—বইয়া যাওয়া হিমেল বাতাসজ্বলজ্বল করা চান্দের আলোয় ফকফকা পথঘাট। সুনসান নিরবতা, কোথাও কেউ নাইতোমার হাতে রাখি হাত।
শীতের রাইত, হু-হু শব্দে বওয়া আউলা বাতাসে উইড়া আসা তোমার চুল, ছুঁইয়া যায় আমার মুখআমার অন্তর জুইড়া তখন হুলস্থুল। তোমার শরীরের ঘ্রাণে কেমন মাতাল মাতাল লাগে আমার, জড়াইয়া আসে চোখ ঘুমে,আমি মাথা রাখি তোমার কান্ধে,কনাকনা শীতেও ঘাইমা যাই তোমার ওমে। তুমি স্বর্গ থিকা নাইমা আসা অপ্সরাতোমার অন্তরের দরজায় বাধা পাওয়া আমার মনতবু শেষবার কই, ‘তুমি থাইকা যাও হে প্রিয়া’—কাঁপাকাঁপা কণ্ঠে জানাই আকুল আবেদন।
তুমি বরাবরের মতোই ভাবলেশহীন, নির্লিপ্তখোদা মালুম কী ভাবনা তোমার,কোন মহাপুরুষরে নিয়া তোমার কল্পনা, ধ্যান কোন সে চোরাবালি টানে তোমারে কার নিকটে গচ্ছিত রাখছো তোমার মন।
Advertisement
আমার ‘ঘ্যান ঘ্যান’ পৌঁছায় না তোমার কানেআমার আবেদন রেখাপাত করে না তোমার প্রাণে,আমি হাঁপাইয়া যাই, হাঁসফাঁস লাগে আমার কান্নায় বুক ভারী হইয়া ওঠে,বিষাদে ভইরা যায় আমার মন। আমি আমারে সামলাই। চুপচাপ চইলা আসি সেদিন।
তুমি সেদিন আমারে শেষবার ফিরায়া দিছিলা।যেমন খুচরা না থাকার অজুহাতে ফিরাইয়া দাও ভিখারি। প্রত্যাখ্যাত হওয়া ভিখারি অন্যত্র হাত পাতে অথচ তুমি জানলা না, ফিরায়া দিলে আমার যাওয়ার মতো কোনো ‘অ্যানাদার পার্সন’ নাই।
এসইউ/এএসএম
Advertisement