আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভারপ্লেটকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পর দারুন উচ্চসিত বার্সেলোনা সুপারস্টার লিওনেল মেসি। ৩-০ গোলে জয়ী ম্যাচের প্রথম গোলটি যে এসেছিল মেসির পা থেকেই! বাকি দুই গোল করেছিলেন লুইস সুয়ারেজ। ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি জয়ের পর বার্সার আর্জেন্টাইন মহাতারকা বলেন, ‘এই শিরোপা জয়ই প্রমান করে, আমরাই বিশ্বসেরা।’কিডনিতে পাথর ধরা পড়ার কারণে সেমিফাইনাল খেলতে পারেননি মেসি। নেইমারও ছিলেন ইনজুরিতে। তবে ফাইনালের আগেই সব ঠিক হয়ে যায়। রিভারপ্লেটের বিপক্ষে তাই মেসি-নেইমার-সুয়ারেজকে দিয়েই সেরা একাদশ গঠন করেন বার্সা কোচ লুই এনরিকে। শেষ পর্যণ্ত দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো বার্সা।এমন একটা ক্লাবের বিপক্ষে খেলেছেন মেসি, যাদের হয়ে ১২ বছর আগে ট্রায়াল দিয়েছিলেন তিনি। তবে হরমোন থেরাপির জন্য মাসে ৯০০ ডলার ব্যায় করা সম্ভব হবে না বলে রিভারপ্লেটে আর নাম লেখানো হয়নি আর্জেন্টাইন সুপার স্টারের। শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনায় পাড়ি জমাতে সক্ষম হন তিনি এবং সেখানকার লা মাসিয়াতেই আজকের ‘মেসি’ হিসেবে গড়ে ওঠেন লিওনেল। ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়ের পর মেসি জানিয়ে দেন, রিভারপ্লেটকে হারানোই শুধু নয়, আমাদের সামনে প্রমান করার প্রয়োজন ছিল যে, বার্সেলোনাই বিশ্বসেরা ক্লাব। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই স্পেশাল একটি শিরোপা। শুধুমাত্র একটি আর্জেন্টাইন দলের বিপক্ষে খেলেছি বলেই নয়, এই ম্যাচটি দেখিয়ে দিল, আমরাই বিশ্বের সেরা একটি দল।’ফাইনাল জয়ের পর যেন ব্যাথাটাও সেরে গেছে মেসির। তিনি জানিয়েছেন, এখন আর ব্যথা নেই৷ ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের পরে মেসি বলেন, ‘ফাইনাল ম্যাচের আগে কোনও ব্যথা ছিল না৷ এটাই ছিল আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷’ চোট প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রচণ্ড ব্যথায় কাবু ছিলাম৷ গোটা দিন বিছানায় পড়ে থাকতাম ব্যথার জন্য৷ ফাইনালে দ্বিতীয়ার্ধে সামান্য সমস্যা হচ্ছিল; কিন্তু পায়ে কোনও ব্যথা অনুভব করিনি৷’ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের প্রসঙ্গে মেসি বলেন, ‘প্রতিটি ট্রফি জিতে আমি আনন্দ পাই৷ এটা একটা বিশেষ জয়৷ ক্লাবের হয়ে ইতিহাস গড়তে পেরে আমি খুশি৷ ফের ক্লাবের হয়ে ট্রফি জিততে চাই৷’আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement