লাইফস্টাইল

যেভাবে ৬ মাসে ১২ কেজি ওজন কমান শেহনাজ

শেহনাজ কৌর গিল নামটির সঙ্গে এখন হয়তো সবাই কমবেশি পরিচিত। সম্প্রতি ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেতা, মডেল ও উপস্থাপক সিদ্ধার্থ শুক্লার মৃত্যুর খবরের পর থেকে শিরোনামে বারবার উঠে এসেছে শেহনাজ গিলের নাম।

Advertisement

তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের করার কথা থাকলেও খুব দ্রুতই ওপারে পাড়ি দিলেন সিদ্ধার্থ শুক্লা। যদিও এ কষ্ট পুষিয়ে নেওয়ার নয়, তবুর জীবিকার দায়ে সবকিছু ভুলে আবারও কাজে ফিরেছেন শেহনাজ। শেহনাজ হলেন একাধারে একজন অভিনেত্রী, গায়িকা ও মডেল। তবে যে বিষয়টির জন্য তিনি চর্চায় উঠে এসেছেন তা হলো ‘বিগ বস সিজন ১৩’ এর একজন জনপ্রিয় প্রতিযোগী তিনি।

প্রতিযোগিতার সময় থেকেই লাখ লাখ মানুষের প্রশংসা ও ভালোবাসা পেয়ে যাচ্ছেন শেহনাজ। ভারতের চণ্ডীগড়ের বংশোদ্ভূত শেহনাজকে সবাই পাঞ্জাবের ক্যাটরিনা কাইফ বলেই জানেন।

তবে করোনা মহামারির শুরুর দিকে শেহনাজের ওজন অনেক বেশি ছিল। যদিও এর কারণ হিসেবে শেহনাজ জানান, বিগ বস থেকেই তা ওজন কিছুটা বাড়াতে বলা হয়েছিল।

Advertisement

তবে অনেকেই শেহনাজের বাড়তি ওজন নিয়ে কটাক্ষ করায় এই অভিনেত্রী কষ্ট পান। এ কারণে করোনা মহামারির শুরুর দিকে দীর্ঘ লকডাউন থাকাকালীন শেহনাজ অতিরিক্ত ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেন।

মাত্র ৬ মাসে ১২ কেজি ওজন কমিয়ে সবাইকে তাঁক লাগিয়ে দেন তিনি। অনেকেরই হয়তো এ বিষয়ে জানার আগ্রহ আছে! কীভাবে শেহনাজ ওজন কমিয়েছিলেন?

সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হলো, কোনো ব্যায়াম না করে শুধু খাদ্যতালিকা সীমাবদ্ধ করেই ১২ কেজি ওজন কমান শেহনাজ। তবে কেন ওজন কমিয়েছিলেন শেহনাজ?

তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘আমার ওজন নিয়ে কয়েকজন উপহাস করেছিলেন। এরপর আমি ওজন কমাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। স্লিম হয়ে সবাইকে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’

Advertisement

শেহনাজ দীর্ঘ লকডাউনের সময়কে কাজে লাগান। গত বছর মার্চ মাসে লকডাউন শুরু হওয়ার সময় তার ওজন ছিল ৬৭ কেজি। আর এখন তার ওজন ৫৫ কেজি।

ওজন কমাতে যে ডায়েট মেনেছেন শেহনাজ গিল জানলে অবাক হবেন, শরীরচর্চা না করেই ১২ কেজি ওজন ঝরান শেহনাজ। মাত্র ৬ মাসে ১২ কেজি ওজন কমানোর রহস্য তিনি নিজেই প্রকাশ করেন।

শেহনাজ বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমি শুধু খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনেছি। নিরামিষ খাবার, চকলেট ও আইসক্রিম বাদ দিয়েছি। আর কিছু নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি খাদ্যতালিকায় বেশি পরিবর্তন আনি নি। উদাহরণস্বরূপ, যদি আমি দুপুরের খাবারে ডাল খেয়ে থাকি, তবে রাতের খাবারে ওই একই খাবার খেয়েছি।’

‘শুধু খাবারের পরিমাণ কমিয়েছি। যখন দু’টি রুটি খাওয়ার ইচ্ছে করে, তখন একটি খেয়েছি। এভাবেই দ্রুত ওজন কমাতে পেরেছি।’

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া/হার জিন্দেগি

জেএমএস/এএসএম