শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান এবং আরবাজ শেঠ মার্চান্টের সঙ্গে এনসিবি হেফাজতে দিন কাটছে মডেল মুনমুন ধমেচার। বলা হচ্ছে, আরিয়ানের বন্ধু তিনি। তার স্যানিটারি ন্যাপকিনে মাদক পাওয়া গেছে, নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) এমনই দাবি।
Advertisement
কিন্তু কী করে প্রমোদতরীর পার্টিতে পৌঁছালেন তিনি? সম্প্রতি ভারতের এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সে কথা জানান তার আইনজীবী আলি কাসিব খান।
আলির দাবি, আরিয়ান-আরবাজের মতো মুনমুনও গোয়াগামী প্রমোদতরীতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তার টিকিটও ছিল না। তদন্তে জানা গেছে, বলরাম নামে এক ব্যক্তি মুনমুনের টিকিট কেটেছিলেন। তার নামে ঘরও ভাড়া নিয়েছিলেন।
আইনজীবীর কথায়, ‘মুনমুন পেশায় মডেল। পার্টি নজরকাড়া করে তুলতেই তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিনিময়ে তাকে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে বলা হয়েছিল।’
Advertisement
৩৯ বছর বয়সী মুনমুনের আদি বাড়ি মধ্যপ্রদেশের সাগর নামে এক ছোট শহরে। ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে। মুনমুনের মা প্রয়াত হয়েছেন গত বছর। বাবা আলাদা থাকেন। দিল্লিতে কর্মরত দাদার সঙ্গেই থাকেন মুনমুন। যদিও মুম্বাইয়ের একাধিক বড় তারকার সঙ্গে ওঠাবসা রয়েছে এই মডেল কন্যার।
কিন্তু আইনজীবীর কাছ থেকে জানা গেছে, কাজের ডাক পেলে তবেই তিনি মুম্বাইয়ে যেতেন। পার্টিতে যাওয়ার আগে আরিয়ান বা আরবাজ কারও সঙ্গেই আলাপ ছিল না মুনমুনের।
আইনজীবী বলেন, ‘বড় পার্টিতে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে মুনমুন খুব খুশি ছিলেন। সেখানে পৌঁছে দাদাকে ভিডিও কল করে সে কথা জানিয়েও ছিলেন মুনমুন। বোঝাই যাচ্ছে, পরিবারের কাছ থেকে লুকিয়ে কিছু করেননি তারা।’
মুনমুনের আইনজীবীর কাছ থেকে জানা গেছে, প্রমোদতরীর পার্টির কিছু তথ্য। প্রমোদতরীর বাইরে লেখা ছিল, ‘মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ’। মুনমুন যখন প্রমোদতরীতে উঠছিলেন, তাদের তল্লাশি করা হয়েছে। তখন কিছু পাওয়া যায়নি তার কাছে।
Advertisement
কিন্তু বিকেল সাড়ে ৫টায় বলরাম এবং আরও একটি মেয়ের সঙ্গে নিজের নামে ভাড়া নেওয়া ঘরে ঢোকেন মুনমুন। দু-তিন মিনিটের মধ্যেই এনসিবি সেখানে ঢুকে পড়ে। মুনমুন তার আইনজীবীকে জানিয়েছেন, ঘরের মেঝেতে মাদকের প্যাকেট পাওয়া গিয়েছিল।
আলি খানের প্রশ্ন, মুনমুনের ঘরে মাদক পাওয়ার সময়ে তার সঙ্গেই ছিলেন বলরাম ও অন্য তরুণী। তা হলে এনসিবি শুধু মুনমুনকেই ধরল কেন? ঘরে পড়ে থাকা মাদকের প্যাকেট তো তাদেরও হতে পারে। কিন্তু শুধু মুনমুনকে জেরা করার জন্য আটক করা হয়। এটা কি ষড়যন্ত্র নয়?
প্রমোদতরীতে কোনো একটা উদ্দেশ্যে সবার জন্য ফাঁদ পাতা ছিল বলেও মনে করেন আইনজীবী।
মুনমুন আমাকে কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেবল আমি-ই কেন?’ বললেন আইনজীবী।
এমআই/এলএ/এএসএম