নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে রসিদ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র (অ্যাডমিট) বাবদ ৫০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
Advertisement
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে প্রথমবর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী আছেন। পরীক্ষার আগে সবার কাছ থেকে প্রবেশপত্রের জন্য ৫০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। তবে টাকা নেওয়া হলেও কোন রসিদ দেওয়া হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, প্রবেশপত্রের ফি বাবদ যে টাকা নেওয়া হচ্ছে তার কোনো রসিদ দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া করোনার মধ্যে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও প্রতিমাসের বেতন নেওয়া হচ্ছে ১ হাজার টাকা করে। যদি বেতনের টাকা কিছু কম নেওয়া হতো আমাদের জন্য ভালো হতো। এতে টাকা দেওয়াও আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য। এক প্রকার বাধ্য হয়েই প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত বেতন ও প্রবেশপত্রের টাকা দিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লহ আল সাফায়েত শামীম বলেন, প্রবেশপত্র বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে ৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছে তা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিলসহ আনুষঙ্গিক কাজে ব্যয় করা হয়। অনেক শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ে বেতন দিতে পারেন না। তবে প্রতি বছর শেষ সময়ে পরীক্ষার আগে বেতন পরিশোধ করে।
Advertisement
রসিদ ছাড়া কেন পরীক্ষার ফি নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি। তবে বেতন আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, বোর্ড থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় করা হচ্ছে। প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা বেতনের বিষয়টি বোর্ড কর্তৃক অনুমতি আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার রায় জাগো নিউজকে বলেন, রসিদ ছাড়া প্রবেশপত্র নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। নওগাঁর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে এমনটা ঘটে থাকলে শিক্ষার্থীদের ম্যানেজিং কমিট বা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে হবে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবো। এছাড়া যদি কোনো দরিদ্র বা অসহায় শিক্ষার্থী থেকে থাকে, তাহলে তারা আবেদন করলে বিশেষ বিবেচনায় মাসিক বেতন কমানোর ব্যবস্থা করা হবে।
আব্বাস আলী/এসজে/জিকেএস
Advertisement