আন্তর্জাতিক

কৃষকদের পিষে যাচ্ছে মন্ত্রীর ছেলের গাড়ি!

ভারতের উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে রোববার বিকেলের দিকে বিক্ষোভরত কৃষকদের ওপর গাড়ি চালিয়ে চারজনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্রর বিরুদ্ধে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অজয় মিশ্র। এদিকে ওই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করে কংগ্রেস। সেখানে দেখা যায়, কৃষকদের পিষে দিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে একটি গাড়ি।

Advertisement

কংগ্রেসের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করছেন বেশ কয়েকজন। হঠাৎ একটি জিপ গাড়ি এসে তাদের ধাক্কা মারে। গাড়ির ধাক্কায় সাদা জামা ও সবুজ পাগড়ি পরা এক ব্যক্তি পড়ে যান। আরও কয়েকজন প্রাণ বাঁচাতে রাস্তার পাশে লাফিয়ে পড়েন। জিপ গাড়িটি চলে যাওয়ার পর তার ঠিক পেছনে আরও একটি গাড়ি চলে যায়। তার পরই দেখা যায় রাস্তার ওপর বেশ কয়েকজন পড়ে আছেন। তাদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন অন্যরা। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

রোববারের এ ঘটনার পর আশিসসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেছে পুলিশ। হাইকোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার। যদিও সংঘর্ষের ঘটনায় ছেলে যুক্ত নয় বলে দাবি করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় বলেন, আমার ছেলে ঘটনার সময় সেখানে ছিল না। তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা।

TW: Extremely disturbing visuals from #LakhimpurKheri The silence from the Modi govt makes them complicit. pic.twitter.com/IpbKUDm8hJ

Advertisement

— Congress (@INCIndia) October 4, 2021

তার দাবি, দুর্ঘটনায় মৃত আটজনের মধ্যে রয়েছেন তার গাড়িচালক এবং বিজেপির তিন কর্মী। এই চারজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অজয় বলেন, আমার চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দুষ্কৃতরা পাথর ছুড়লে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং দুই কৃষক গাড়ির নিচে চাপা পড়েন। এরপর তিন বিজেপি কর্মী এবং চালককে পিটিয়ে মারা হয় এবং গাড়িতে আগুন লাগানো হয়।

ইতোমধ্যে লখিমপুর ও লক্ষ্ণৌতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা। সোমবার তৃণমূলের পাঁচ সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, আবির রঞ্জন বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেব লখিমপুরে গেছেন। এছাড়া কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব লখিমপুর যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের আটক করে পুলিশ।

সূত্র: আনন্দবাজার

টিটিএন/এমএস

Advertisement