কোনো প্রকল্পে অনিয়মে জড়িত ব্যক্তি অবসরে গেলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাবনা অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
Advertisement
তিনি বলেছেন, এ প্রকল্পের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা অবসরে গেছেন তারাও পার পাবেন না।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের কাজ শেষ করতে চূড়ান্তভাবে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। যারা এ প্রকল্পের বিলম্বের ক্ষেত্রে জড়িত তাদের শাস্তির জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি একইসঙ্গে কাজও চলমান রাখতে বলেছেন।
Advertisement
এম এ মান্নান বলেন, এ বিষয়ে আইএমইডি সচিবকে দিয়ে একটা কমিটি গঠন করি। সচিব একটা বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্ট দিয়েছেন, সেটা আমি প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাই।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও গণপূর্ত বিভাগকে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি অনুরোধ করেছি। নতুন পিডির মাধ্যমে কাজ শুরু করতে বলেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- তদন্ত রিপোর্টে যে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এর মধ্যে অনিয়মকারীদের কেউ কেউ অবসরে চলে গেছেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর নজরে ছিল। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা যায় না, অ্যাকোর্ডিং টু গভর্নমেন্ট রুলস। কিন্তু সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয় এমন ব্যক্তিদের পিডিআর অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা দেওয়া যায়।
Advertisement
নাসিমা সুলতানা বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- অবসরে গেলেও পার পাবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সরকারি অর্থায়নে মোট ২৭৫ কোটি ৪৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য একনেকে অনুমোদিত হয়েছিল প্রকল্পটি। ২০১২ সালে অনুমোদনের পর দফায় দফায় মেয়াদ ও ব্যয় বাড়লেও প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা জানিয়ে এম এ মান্নান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুধু কারখানার ভেতরে করলে চলবে না। কারখানা এলাকায় ইটিপি স্থাপন করতে হবে। কোনো প্রকল্পে বৈদেশিক সহায়তা না পেলে রিজার্ভ থেকেও ঋণ নেওয়া যেতে পারে। তবে সেই টাকা পরে পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া নদী, খাল নিয়মিত ড্রেজিংয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এসএম/এমআরআর/এমএস