ক্লিনফিড দেওয়া বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
Advertisement
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রস্থ পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ক্লিনফিড ছাড়া কোনো বিদেশি টিভি চ্যানেল/অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে পারবে না মর্মে সংশ্লিষ্ট সকলকে পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো বিদেশি টিভি চ্যানেলে ক্লিনফিড থাকার পরও ১ অক্টোবর থেকে সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে। যা ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর পরিপন্থি।’
‘উল্লেখ্য যে- নিম্নবর্ণিত বিদেশি টিভি চ্যানেলসমূহ বিজ্ঞাপনবিহীন (ক্লিনফিড) অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে থাকে: বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা এইচডি, ডিডাব্লিউ, কেবিএস ওয়ার্ল্ড, এআরআই র্যাংগ টিভি, এনএইচকে ওয়ার্ল্ড, সিজিটিএন, রাশিয়া টুডে, ফ্রান্স ২৪, লোটাস, ট্রাভেল এক্সপি এইচডি, আল কুরান, আল সুন্না, টেন স্পোর্টস, ডিসকভারি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, দুবাই স্পোর্টস, মাস্তি টিভি, বিফরইউ মিউজিক, এমটিভি, স্টার স্পোর্টস ১, স্টার স্পোর্টস ২, স্টার স্পোর্টস ৩, স্টার স্পোর্টস ৪।’
Advertisement
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিদেশি টিভি চ্যানেলগুলো এবং আরও যেসব অনুমোদিত বিদেশি টিভি চ্যানেল ক্লিনফিড অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে সেসব টিভি চ্যানেল বন্ধ না রেখে সম্প্রচার করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
এর আগে গতকাল সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাটকো প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি জানতে পেরেছি বিদেশি যেসব চ্যানেল ক্লিনফিড দিচ্ছে, আমি গতকাল ১৭টি চ্যানেলের কথা বলেছিলাম, আসলে ১৭টি নয় ২৪টি বিদেশি চ্যানেল। ২৪টির বেশি চ্যানেল বাংলাদেশে ক্লিনফিড দেয়। সুতরাং এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। আকাশ ডিটিএইচ এগুলো চালাচ্ছে। অন্যদেরও এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এ বিষয়ে কোনো পত্রের প্রয়োজন হলে আমরা তা ক্যাবল অপারেটরদের কাছে পাঠাবো। যদি এরপরও কেউ এগুলো না চালায় তাহলে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ হবে। সুতরাং শর্ত ভঙ্গের কাজ কেউ করবেন না।’
আইএইচআর/এমএইচআর/জিকেএস
Advertisement