ওজন কমানোর প্রয়াসে বর্তমানে অনেক স্বাস্থ্য সচেতনরাই নিয়মিত ওটস খেয়ে থাকেন। ভাত-রুটির বদলে ওজন কমাতে ওটস দুর্দান্ত কার্যকরী এক খাবার। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় ওটস খেলে সারাদিন ক্ষুধা লাগার ভাব কম থাকে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
Advertisement
এছাড়াও ওটসে আছে প্রোটিনসহ নানা ধরনের খনিজ উপাদান। ওটস দিয়ে খুব সহজেই বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করা যায়। বিশেষ করে ওটসের সঙ্গে পছন্দসই ফল আর ড্রাই ফ্রুটস মেশালে তো কথাই নেই। তাহলে এর পুষ্টিগুণ বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
অনেকেই ওটসের খিচুড়ি, উপমা ও কুকিজ খেয়ে থাকেন ওজন কমাতে। ওটসের সঙ্গে টকদই ও ফল মিশিয়ে খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। এতেই দ্রুত ওজন কমে।
ওজন কমাতে কোন ওটস খাবেন?
Advertisement
বাজারে মোট তিন ধরনের ওটস পাওয়া যায়। স্টিল কাট ওটস, রোলড ওটস আর ইনস্ট্যান্ট ওটস। এই তিন ধরন কিন্তু নির্ভর করে প্রসেসিংয়ের উপর।
রোলড ওটস আর ইনস্ট্যান্ট ওটসে কিছুটা হলেও কেমিকেল মেশানো থাকে। তবে স্টিল ওটসে তা থাকে না। একইসঙ্গে এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবারও থাকে। তাই ওজন কমাতে এ ধরনের ওটস খেতে পারেন।
কতটুকু ওটস খাবেন?
ওজন কমাতে হলে যে খাবারও খান না কেন অবশ্যই ক্যালোরি মেপে খাবেন। সকালের নাস্তা ছাড়াও ওটস খেতে পারেন স্ন্যাকস টাইমে। তবে একবারে অনেকখানি ওটস খঅবেন না।
Advertisement
সারাদিনে ৩ বার ভারি খাবার আর ২ বার হালকা খাবার খাবেন। একইসঙ্গে ক্যালোরি গুণে খেতে হবে। সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করবেন সকালের নাস্তায়। এরপর সারাদিনের খাবারের ক্যালোরি সীমাবদ্ধ রাখুন।
ওটস কীভাবে খাবেন?
ওটস দিয়ে আপনি খিচুড়ি, উপমা তৈরি করে খেতে পারেন। তবে কখনও ওটসের সঙ্গে চিনি বা গুড় মিশিয়ে খাবেন না। একেবারেই যদি মিষ্টি ছাড়া না খেতে পারেন তাহলে ওটসের সঙ্গে মধু বা ম্যাপেল সিরাপ যোগ করতে পারেন।
তবে ওটসের সঙ্গে ফল, বিভিন্ন বাদাম, পিনাট বাটার, খেজুর এসব মেশালে আর আলাদা করে মিষ্টি স্বাদের প্রয়োজন হয় না। এভাবে ওটস খেলে ওজনও কমবে দ্রুত আবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
আর ওজন কমানোর জন্য সঠিক ডায়েট অনুসরণের পাশাপাশি লোভ সংবরণ করতে হবে। জাঙ্ক ফুড, আইসক্রিম, চকলেট, মিষ্টি, কোমল পানীয় একদম বাদ দিতে হবে।
ডায়েটে বেশি করে ফল, পিনাট বাটার, ড্রাই ফ্রুটস, ওটস এসব বেশি পরিমাণে রাখুন। বেশি করে শস্যদানা খাওয়ার চেষ্টা করুন। কার্বোহাইড্রেট একেবারেই নয়। সেই সঙ্গে শরীরচর্চায় কিন্তু ফাঁকি দিলে চলবে না।
জেএমএস/জিকেএস