দেশজুড়ে

বেঁধে রাখা ছিল বিক্রির জন্য, ৬০০ টাকায় কিনে অবমুক্ত করলেন পিয়া

সিলেটের খোজার খালা এলাকায় এক ব্যক্তি বিলুপ্তপ্রায় একটি ডাহুক পাখি বিক্রির জন্য বেঁধে রাখেন। পাখিটি মুক্ত হতে বারবার রশির বাঁধ খোলার জন্য ঠোঁট দিয়ে চেষ্টা করছিল। এ দৃশ্য দেখেন সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির আইনবিভাগের ছাত্রী প্রিয়েতেনিয়া পিয়া।

Advertisement

পাখি এভাবে বেঁধে রাখা অন্যায় জানিয়ে তিনি ডাহুকটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য শিকারির প্রতি অনুরোধ জানান। কিন্তু শিকারি পাখিটি অবমুক্ত করে দিতে অপারগতা জানান। পরে ৬০০ টাকা দিয়ে পাখিটি কিনেন পিয়া।

সোমবার (৪ অক্টোবর) পাখিটি কেনার পর অবমুক্ত করতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। খবর পেয়ে সেখানে পরিবেশ সংগঠক আব্দুল করিম কিম, সাংবাদিক নেতা ছামির মাহমুদ ও মিঠু দাস জয় সেখানে গিয়ে পাখিটি খোজারখলা এলাকার একটি জলায় অবমুক্ত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী প্রিয়েতেনিয়া পিয়া বলেন, পাখি শিকার ও খাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ এবং পাখির উপকারিতা স্কুল-কলেজের পাঠ সূচিতে উল্লেখ থাকলে নতুন প্রজন্মের পাখির প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে। তাহলে কেউ এভাবে পাখি শিকার করে দোকানের সামনে বেঁধে রাখার সাহস পাবে না।

Advertisement

পরিবেশ আন্দোলন-বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, কেউ এভাবে পাখি বিক্রি করতে দেখলে খবর দিলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করার ব্যবস্থা করা হবে। এভাবে টাকা দিয়ে পাখি ক্রয় করা আর লাগবে না। আমরা শিকারিকে বনবিভাগের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।

জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, পিয়ার মতো নতুন প্রজন্ম যদি পরিবেশ-প্রকৃতি ও পাখির প্রতি ভালোবাসা দেখায় তাহলে দেশের পশু-পাখি রক্ষার পাশাপাশি আমাদের জৈববৈচিত্র রক্ষা পাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগ থেকেও আমরা রক্ষা পাবো। তাই পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র রক্ষায় আমরা পিয়াকে অনুসরণ করতে পারি।

ছামির মাহমুদ/এসজে/জেআইএম

Advertisement