পাইকগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামানের অপসারণ, সরকারি দলের নেতাকর্মী দ্বারা বিএনপির নির্বাচনী অফিস দখলের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির পৌরসভা নির্বাচন সমন্বয় কমিটি।সোমবার দুপুর ১২ টায় সমন্বয় কমিটির প্রধান, সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল আলম মনার নেতৃত্বে সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। একই অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে ফ্যাক্সবার্তা প্রেরন করেছেন তারা। স্মারকলিপি ও ফ্যাক্সবার্তায় নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, পাইকগাছার থানার ওসি মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আব্দুল মজিদ, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবু সাঈদ, খুলনা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু ও খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হোসেন বাবুকে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে বলেন, অন্যথায় তাদের গ্রেফতার করা হবে। গত ১৯ ডিসেম্বর পাইকগাছা থানার সরল বাজার এলাকায় বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালায়ে স্থানীয় যুবলীগের নেতা কর্মীরা তা দখল করে নেয়। ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিএনপিপন্থী ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণায় না আসার জন্য পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্যে এবং মোবাইলে হুমকি দেয়।১৭ ডিসেম্বর বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ডা. আব্দুল মজিদের বাড়ি পুলিশ ঘেরাও করে এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিতর আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে হুমকি ধামকি দিয়ে বলে যে, এই বাড়িতে জঙ্গিদের নিয়ে মিটিং করা হচ্ছে এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পৌর নির্বাচনকে প্রভাবিত ও ভীতি সৃষ্টি করার জন্য বেপরোয়া হুমকি দিচ্ছে। এদিকে গত ২০ ডিসেম্বর চালনা পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ আব্দুল মান্নান এর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা আমাদের কর্মীদের হুমকি প্রদানসহ ভয়-ভীতি দেখায়। এছাড়া দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে বসে চা পান করা, টিভি দেখা নির্বাচন আচারণবিধি ভঙ্গের শামিল। অথচ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে দেদারছে চা-পান করা ও টিভি দেখা চলছে এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রশাসন নিরব। সমন্বয়কারী নেতৃবৃন্দ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। আলমগীর হান্নান/এসএস/আরআইপি
Advertisement