ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হয়রানির শিকার ওই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. আবু তালহা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র। জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়ার সময় তালহা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন কর্তৃক অশোভন আচরণের শিকার হয়েছেন।লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্র উল্লেখ করেন, সময় মত উপস্থিত হতে না পেরে তিনি হলের (এসএম হল) নির্ধারিত বাস মিস করেন এবং স্যার এ এফ রহমান হলের নির্ধারিত বাসে ওঠেন। কিন্তু পথিমধ্যে শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বাসে অন্য হলের কেউ আছে কিনা জানতে চান। তখন স্বেচ্ছায় স্যারের সঙ্গে দেখা করে নিজেকে এসএম হলের বলে পরিচয় দেন আবু তালহা এবং আইডি কার্ড দেখান। ওই শিক্ষক আইডি কার্ড দেখে তালহাকে ভুয়া আইডি কার্ডধারী বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এগুলো নীলক্ষেত থেকে তৈরি।’এমনকি শিক্ষক হেলাল উদ্দিন ওই ছাত্রের কাছে বোমা আছে সন্দেহ করে বলেন, ‘বোমা আছে তোমার কাছে? বোমা মারবা!’ এ বলে ওই ছাত্রকে জোর বাস থেকে হেমায়েতপুরে নামিয়ে দেন। এসময় তালহা বলেন, ‘স্যার আমার ব্যাগ আছে উপরে। তখন শিক্ষক বলেন, ব্যাগের মধ্যে বোমা আছে কিনা চেক করে তোমাকে দেয়া হবে। তুমি নিচে থাকো।’ শেষ পর্যন্ত ওই ছাত্রের আইডি কার্ডও ফেরত দেননি শিক্ষক হেলাল উদ্দিন। পরবর্তীতে বিষয়টি ছাত্র আবু তালহা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলীকে জানান। প্রক্টর তাকে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের কাছে জানাতে বলেন। পরবর্তীতে রোববার (২০ ডিসেম্বর) প্রক্টর বরাবর বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্র।জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘ওই ছাত্র অভিযোগ করেছে। একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি। ডিপার্টমেন্ট বা হলের না হলেও সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাই একজন শিক্ষককে সে রকম আচরণই করা উচিত। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।’‘তবে যেহেতু তিনি একজন শিক্ষক তার বিষয়টি আমি দেখতে পারি না। এটা উপাচার্য দেখবেন। তাই আমি তাকে উপাচার্য বরাবর অভিযোগ করতে বলেছি।’ এমএইচ/এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement