মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরীতে এক মাদক-পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান। সেখান থেকে ৩ অক্টোবর তাকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলার পর প্রমোদতরীতে মাদক নেওয়ার কথা স্বীকার করেন আরিয়ান। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার ডিজিটাল।
Advertisement
তবে যে ভাবে মাদক লুকিয়ে ওই প্রমোদতরীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা দেখে রীতিমতো অবাক তদন্তকারীরা। এনসিবি সূত্রে খবর, আরিয়ানের লেন্স রাখার বাক্স থেকে উদ্ধার হয়েছে মাদক। এবং তার বান্ধবীদের স্যানিটারি প্যাড, ওষুধের বাক্স, জামাকাপড়, অন্তর্বাসের সেলাইয়ের মধ্যেও রাখা ছিল মাদক। খুব সহজে যাতে মাদকের হদিস না পাওয়া যায়, মূলত সেই কারণেই সেগুলিকে এমন সব জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত আছে নাকি, কোথায় থেকে এতো পরিমাণ মাদক এলো, কারা তা নিয়ে প্রমোদতরীতে গেলেন—এ সবই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেছেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীর মাদক পার্টি থেকে ১০ জনকে আটক করেছে এনসিবি। টানা ১৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস’ (এনডিপিএস)-আইনের আওতায় গ্রেফতার হন আরিয়ান-সহ মুনমুন ধমেচা এবং আরবাজ শেঠ মার্চান্ট।
Advertisement
আরমানের পরোয়ানায় লেখা রয়েছে, ৩০ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি এবং নগদ ১,৩৩,০০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে মুম্বাই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীর টার্মিনালে। সোমবার (০৪ অক্টোবর) পর্যন্ত এনসিবি-র হেফাজতে থাকবেন তারা।
এমআই/এলএ/জেআইএম