জাতীয়

জিয়াউদ্দিন বাবলুর মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক

জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

Advertisement

শনিবার (২ অক্টোবর) এক শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ এ তথ্য জানিয়েছেন।

শনিবার সকাল ৯টা ১২ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

Advertisement

মরহুমের জানাজা আজ বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। পরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

জানাজা ও দাফনের বিষয়টি জাগো নিউজকে জানিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।

তিনি জানান, জিয়াউদ্দিন বাবলুর জানাজা আজ বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। পরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এর আগে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে রাখা হবে তার মরদেহ।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন বাবলু। গত ৬ সেপ্টেম্বর তার করোনা ধরা পড়ে।

Advertisement

এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিকের পক্ষে প্রচারণা চালাতে পাঁচদিন তিনি সিলেটে অবস্থান করেন। পরে ঢাকায় ফিরে অসুস্থতাবোধ করলে তার করোনা পরীক্ষা করানো হয়।

পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হলে ৬ সেপ্টেম্বর তাকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে অবস্থার অবনতি হলে একদিন পর তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়।

জানা গেছে, বাবলু আগে থেকে অ্যাজমা ও হার্টের জটিলতাসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। করোনা শনাক্তের পর ফুসফুস মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়।

১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন।

১৯৮১-৮৩ মেয়াদে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৮৫-৮৬ সালে শিক্ষা উপমন্ত্রী, ১৯৮৬-৮৭ সালে বন্দর ও নৌপরিবহন উপমন্ত্রী, ১৯৮৭ সালে অর্থ প্রতিমন্ত্রী, ১৯৮৭-৮৮ সালে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী ও ১৯৮৮-৯০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রীর দায়িত্বপালন করেন তিনি।

এসইউজে/ইউএইচ/এমএস