কলকাতা সংবাদদাতা, জ্যোতির্ময় দত্ত
Advertisement
চরম অব্যবস্থাপনার কারণে লোকসান গুনতে গুনতে ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়া ভারতের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পেতে যাচ্ছে টাটা গোষ্ঠী।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রে তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বহুদিন ধরেই এয়ারলাইনটি বিক্রির চেষ্টা করেছে দেশটির সরকার। একারণে সংস্থাটিকে বেসরকারি খাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের এপ্রিলে আগ্রহীদের কাছে দরপত্র আহ্বান করেছিল সংস্থাটি।
Advertisement
এয়ার ইন্ডিয়া দরপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন নিজেদের দর জমা করেছিল টাটা গোষ্ঠী। শেষ বেলার সেই দরপত্রেই বাজিমাত করলো টাটা গোষ্ঠী। এমনই দাবি করা হয়েছে ব্লুমবার্গের পক্ষ থেকে। খবর অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার নয়া মালিক টাটা গোষ্ঠী। টাটা গোষ্ঠী ছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়া কেনার জন্য স্পাইস জেটের প্রতিষ্ঠাতা অজয় সিংও দরপত্র জমা করেছিলেন।
টাটার পক্ষ থেতে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দর জমা দেওয়া হয়। যা স্পাইসজেটের অজয় সিংয়ের হাঁকা দরের থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বেশি বলে সূত্রে জানা গেছে। যদিও সরকার বা কোনো সংস্থার পক্ষ থেকেই এ নিয়ে মন্তব্য করা হয়নি।
সূত্র জানায়, টাটা সন্সের জমা দেওয়া দরপত্রটি গ্রাহ্য হয়েছে। এর ফলে ঋণের চাপে ধুঁকতে এয়ার ইন্ডিয়ায় প্রায় ৮৪ শতাংশ শেয়ার চলে যাবে রতন টাটার সংস্থার হাতে।
২০০৭ সালে দেশীয় বিমান সংস্থা ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার পর থেকেই লোকসানে চলছে এয়ার ইন্ডিয়া। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এর বিক্রি প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিলম্ব দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্তত পাঁচবার প্রাথমিক দরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ায় ভারত সরকার।
Advertisement
১৯৩২ সালে টাটা এয়ারলাইন্স শুরু করেছিল টাটারা। পরবর্তীতে ১৯৪৬ সালে সেই সংস্থার নাম বদল করে এয়ার ইন্ডিয়া করা হয়েছিল। ১৯৫৩ সালে টাটার সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে কেন্দ্র। পরে অবশ্য ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেন জেআরডি টাটা। এ মুহূর্তে বাজারে এয়ার ইন্ডিয়ার ঋণের পরিমাণ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে ৪ হাজার ৪০০ অভ্যন্তরীণ উড়ান ও ১ হাজার ৮০০ আন্তর্জাতিক বিমান চালায় এয়ার ইন্ডিয়া।
এমএএইচ/জিকেএস