জাতীয়

আপিলে প্রার্থিতা পেলেন দেড় শতাধিক

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া দেড় শতাধিক প্রার্থী হাইকোর্টে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এর মধ্যে সাত-আটজন মেয়র প্রার্থী আছেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।অভিযোগ আছে, সরকারি দলের প্রার্থীদের চাপে নিয়মবহির্ভূতভাবে ফেনী, চাঁদপুর, সিলেট, শরীয়তপুর, কুমিল্লাসহ কয়েকটি জেলায় প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ৫৮১ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৫৯ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।সোমবার সকালে নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, ২৩৪টি পৌরসভায় বাছাইয়ে মেয়র পদে ১৫৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তাদের মধ্যে বিএনপির ১৬ জন প্রার্থী আছেন। এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি আছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। বাকিরা অন্যান্য দলের।তবে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েও স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না এসব প্রার্থীরা। ভোটের সপ্তাহ খানেক আগে কমিশন এ বিষয়ে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, কমিশন মনে করে, রিটার্নিং কর্মকর্তা বা আপিল কর্তৃপক্ষ যৌক্তিক কারণেই প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল।কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, রোববারের বৈঠকে দুজন কমিশনার হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল না করার পক্ষে মত দেন। তিনজন কমিশনার আপিলের পক্ষে মত দিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।হাইকোর্টের রায়ে মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়া মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন চাঁদপুরের ছেংগারচরে বিএনপির সারোয়ারুল আবেদীন, বগুড়ার সারিয়াকন্দিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল হামিদ সরদার ও আবদুর রশিদ ফরাজী, শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপির গোলাম মো. রাব্বানী, লাকসামে জাতীয় পার্টির মোখলেসুর রহমান, হোমনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জহিরুল হক, সিলেটের গোলাপগঞ্জে বিএনপির গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী প্রমুখ। এখন নির্বাচন কমিশন আপিল করলে এসব প্রার্থীর নির্বাচন করা জটিলতার মধ্যে পড়বে। ঘোষিত তফিসিল অনুযায়ী দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় ৩০ ডিসেম্বের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এইচএস/এসকেডি/এমএস

Advertisement