আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস আজ (১ অক্টোবর)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ দিবসটি পালিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
Advertisement
প্রতিবছরের মতো এবারও সমাজসেবা অধিদপ্তর দিবসটি পালন করবে। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ডিজিটাল সমতা সব বয়সের প্রাপ্যতা’।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি কল্যাণমূলক সংগঠনগুলোকেও প্রবীণদের কল্যাণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
১৯৯০ সালে জাতিসংঘ প্রতিবছর ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রবীণদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বার্ধক্যের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
Advertisement
জাতিসংঘ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য ৬০ বছর ও তদুর্ধ্ব এবং উন্নত দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য ৬৫ বছর ও তদুর্ধ্ব বয়সীদের প্রবীণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি, সচেতনতা, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন মৃত্যুহার যেমন হ্রাস করেছে; পাশাপাশি মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। ফলে বিশ্ব সমাজে বয়স্কদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় দেড় কোটি প্রবীণ বা সিনিয়র সিটিজেন রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ দেশে প্রবীণের সংখ্যা সাড়ে তিন কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সরকার বয়স্কভাতা কর্মসূচি প্রবর্তন করে যার আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রান্তিক পর্যায়ে প্রায় ৪৯ লাখ প্রবীণ নাগরিক ভাতা পেয়েছেন। চলমান অর্থবছরে এর আওতা আরও বাড়ানো হয়েছে। সরকার ২০১৪ সালে প্রবীণ ব্যক্তিদের সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা-২০১৫ প্রণয়ন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার প্রবীণদের সার্বিক কল্যাণে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
Advertisement
এমএএইচ/জিকেএস