যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোনা নিয়ে পালানো সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রফিকের কাছে থাকা রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহৃত পিস্তলটি নিয়ে বেনাপোলে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। এদিকে ঘটনার ছয় দিন পার হতে চললেও এখনো আটক করা যায়নি সোনা আত্মসাতকারী এএসআই রফিককে। উদ্ধার করা যায়নি ১৩টি সোনার বার ও সঙ্কেগ সঙ্গে সরকারি পিস্তলটি। এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জাগো নিউজকে জানান, পিস্তল কোথায় আছে তা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি। অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে ওসিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমরা ধারণা করছি অস্ত্র লকারে আছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লকার খোলা হবে। থানা কর্তার একেক সময় একেক কথা বলায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।বেনাপোল থানা সূত্র জানায়, এএসআই রফিক বেনাপোলের রঘুনাথপুর থেকে সোনাসহ আসামি রেজাউলকে ধরে এনে থানা হাজতে রেখে সোনা নিয়ে বাইরে চলে যান। তারপর থেকে আর তিনি ফিরে আসেননি। আসামি ধরতে যাওয়ার সময় পিস্তলটি তার কোমরে ছিল। থানা সূত্র এবং ওসির কথা অনুযায়ী এএসআই রফিকের ব্যবহৃত পিস্তল কিভাবে লকারে গেল তা মেলানো ভার। যদি তিনি ওই সময় অস্ত্র রেখে যান তাহলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার জানার কথা। অথবা লকারের চাবি যার কছে তারও জানার কথা। সে অনুযায়ী বেনাপোল পোর্ট থানার কথার গড়মিল দেখা দেয়াতে এলাকায় জনমনের সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে আসলে ওইদিন কি পরিমাণ সোনা আটক করা হয়েছিল। ১৫ ডিসেম্বর সকালে পোর্ট থানা এলাকায় গুঞ্জন উঠে এএসআই রফিক ১৭ কেজি সোনা ধরে থানায় নিয়ে আসেন। এ গুঞ্জনে স্থানীয় সাংবাদিকরা পোর্ট থানায় ভিড় জমান এবং উপস্থিত থানার কয়েকজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) বলেন, আটক রেজাউলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি ১৩ পিস সোনার বার নিয়ে এএসআই রফিক পালিয়ে গেছেন। থানার অফিসাররা আটক রেজাউলের কথার উপর ভিত্তি করে এ কথা বলেন। অপরদিকে, এলাকার অন্য একটি সূত্র জানায়, আটক রেজাউলের সঙ্গে আরও একজন ছিলেন। তার কাছে থাকা সোনা নিয়ে রফিক তাকে ছেড়ে দিয়ে আসামি রেজাউলকে থানায় রেখে পালিয়ে যান। এএসআই রফিক যদি ওই সময় পালিয়ে যান তাহলে অস্ত্র থানায় জমা দেওয়ার কোনো সুযোগ পাননি। ব্যাপারটি খতিয়ে দেখলে ও আসামি রেজাউলকে অন্য সংস্থা দিয়ে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সোনা আত্মসাতের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছেন কিনা তা বেরিয়ে আসতে পারে বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন। অন্য একটি সূত্র জানায়, এএসআই রফিকের কাছে থাকা পিস্তলটি যদি থানায় না থাকে তবে ওই পিস্তলটি নিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী যেকোনো কাজ করতে পারেন তিনি। সরকারি পিস্তলটি উদ্ধারেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার লোকজন। মো. জামাল হোসেন/এমজেড/এমএস
Advertisement