সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দীর্ঘদিন ধরে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙা ছিল। তাই সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও উপজেলা পরিষদ। সে অনুযায়ী দুদিন আগে থেকে শুরু সড়কে ঢালাইয়ের কাজ। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দেয়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। কাজে অনিয়মের অভিযোগও তোলেন তারা। তাহিরপুর উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, তাহিরপুর থানা ভবনের সামনে থেকে ভাটি তাহিরপুর ত্রিমুখী পর্যন্ত সড়ক সংস্কারকাজের জন্য ১ কোটি ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাবুল পুরাকায়স্থ।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়কে ফাটলের খবর পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাড়াহুড়ো করে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে ফাটল বন্ধ করে দেন।
তাহিরপুরের স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই সড়ক ভাঙা থাকায় আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তিতে ছিলাম। যখন সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হলো তখন ভেবেছি এ বুঝি ভোগান্তি শেষ হলো। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই সড়কে ফাটল ধরেছে।
তাহিরপুরের স্থানীয় বাসিন্দা মুন্না আহমেদ বলেন, সংস্কারকাজ শুরুর মাত্র দুদিন হলো। এর মধ্যে ফাটল ধরেছে। এ থেকে বোঝা যায় কাজে অনিয়ম হচ্ছে।
Advertisement
তাহিরপুরের আরেক বাসিন্দা সাজু আহমদ বলেন, সড়কে ফাটলের বিষয়টি যখন পুরো ছড়িয়ে পড়ে তখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাড়াহুড়ো করে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে ফাটল বন্ধ করে দেন। কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে তদন্তের দাবি জানাই।
সড়কে ফটলের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার বাবুল পুরকায়স্থ জাগো নিউজকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। কাজে কোনো দুর্নীতি কিংবা অনিয়ম হচ্ছে না। যদি সড়কে কোনো সমস্যা হয় তা সমাধান করা হবে।
তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইকবাল কবির জাগো নিউজকে বলেন, সড়কে ঢালাইয়ের পর পানির অভাবে সামান্য ফাটল দেখা দিয়েছে। এটা বড় কোনো সমস্যা নয়।
সড়ক সংস্কারকাজে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জাগো নিউজকে বলেন, কোটি টাকা ব্যয়ে যে সড়কটির সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে, সেখানে যদি কেউ অনিয়ম করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
Advertisement
লিপসন আহমেদ/এসজে/জিকেএস