জাতীয়

দেশে টিকাগ্রহীতা ৫ কোটি ছুঁই ছুঁই

রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ছুঁই ছুঁই করছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে এ সংখ্যা পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

Advertisement

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দেশে মোট টিকাগ্রহীতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯৬ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন তিন কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার ১১০ জন ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন এক কোটি ৬৭ লাখ ৮১ হাজার ৮৮৬ জন। সে হিসাবে দেশে এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৭০ লাখ ৫১ হাজার ৯৬ জন টিকা পেয়েছেন।

রাজধানীসহ সারাদেশে বুধবার টিকা নিয়েছেন ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ২৪৪ জন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ ১১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩ জন ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৪৮ হাজার ১৫১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস ও লাইন ডিরেক্টর এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথ) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।

Advertisement

এ বছরের ২৭ জানুয়ারি দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্টাজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করে সরকার।

শুরুতে করোনার টিকা নিতে নিবন্ধনের জন্য ৪০ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করলেও কয়েক ধাপে সেটি কমিয়ে ২৫ বছরে আনা হয়। এছাড়া শিক্ষার্থী ও সম্মুখযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা ১৮ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে হলেই টিকা নিতে পারছেন।

দেশে করোনার টিকা পেতে এ পর্যন্ত মোট নিবন্ধনকারীর সংখ্যা চার কোটি ৮১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮ জন। এর মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে চার কোটি ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৫ জন ও পাসপোর্টের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন ছয় লাখ ৩৯ হাজার ৫৯৩ জন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। এরপর এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫১ জন এবং মারা গেছেন ২৭ হাজার ৪৮৭ জন।

Advertisement

এমইউ/এমকেআর