প্রথম দুই আসরের বিভিন্ন কেলেঙ্কারির কারণে তো ২০১৪ সালে বিপিএল মাঠেই গড়ানো যায়নি। এর মধ্যে ছিল, ২০১৩ বিপিএলে ফিক্সিংয়ের কালো থাবা। যে কারণে মোহাম্মদ আশরাফুলের মত ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করতে হয়েছে। এবার যাতে বিপিএলের ম্যাচে ফিক্সিংয়ের কালোছায়া ভর না করে, সে জন্য আগে থেকে বেশ সতর্ক ছিল বিসিবি। আইসিসির আকসু এবং বিসিবির দুর্নীতিদমন ইউনিট যৌথভাবে কাজ করেছে এবারের বিপিএলে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ফ্রাঞ্চাইজির কর্মকর্তাদের নিয়ে আলাদা কর্মশালা করা হয়েছে এ বিষয়ে।তবুও, সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে ফিক্সিংয়ের গন্ধ যে একেবারে ছড়ায়নি তা নয়। চট্টগ্রামে একটি ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ দানা বেধেছিল। সন্দেহ করা হয়েছে একটি ম্যাচে ‘কিছু একটা’ হয়েছে। এমনকি চট্টগ্রামে একটি ম্যাচ চলাকালে সন্দেহজনক একজনকে আটক করার খবরও জানা গিয়েছিল। বিপিএল নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের কাছে জানতে চাওয়া হয়। বিষয়টা তিনি কিছুটা কৌশলে এড়িয়ে যান। জানতে চাওয়া হয়, এটা কি এখনই বলে দিতে পারেন কোনো ম্যাচে ফিক্সিং হয়নি? জবাবে বিসিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ম্যাচ দেখলে বোঝা যায়। এখানে আমাদের আকসু কাজ করছে। কোনো ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ এখনো আমরা পাইনি। ম্যাচ ফিক্সিং বিষয়ে কোনো প্রশ্ন এখনো আমাদের কাছে আসেনি। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়া এই বিষয়ে কথা বলতেই রাজী নই আমি।’আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement