সালতামামি

ঘর সামলাতেই বিএনপির বছর পার

জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বছরের শুরু থেকেই আন্দোলন শুরু করলেও শেষ সময়ে বিএনপির সে আশায় পানি ঢেলেছে সরকার। মামলার জালে জড়িয়ে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের পরিবর্তে বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্থানীয় নির্বাচনে মনোযোগী হয়ে মান রক্ষার চেষ্টায় এখন ব্যস্ত।জানা গেছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে গণতন্ত্রের কালো দিবস দাবি করে বছরের শুরুতেই সমাবেশের প্রস্তুতি নিলেও সরকারের প্রথম বছর পূর্তিতে বালুর ট্রাকের ব্যারিকেটে অবরুদ্ধ হন খালেদা জিয়া।ফলে সমাবেশে ব্যর্থ হয়ে টানা হরতাল আর অবরোধে যায় বিএনপি।টানা অবরোধ চলাকালে ২৪ জানুয়ারি কার্যালয়ে বসেই ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের মৃত্যর সংবাদ পান খালেদা জিয়া। ২৭ জানুয়ারি দেশে কোকোর মরদেহ আনা হলেও নিজ কার্যালয় থেকেই চোখের জলে শেষ বিদায় জানান কনিষ্ঠ পুত্রকে। পরে টানা তিন মাস কার্যালয়ে অবস্থান শেষে জিয়া চেরিটাবল ও অরফানেজ ট্রাস্টের দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়ে বাসায় ফিরেন খালেদা জিয়া।অন্যদিকে, টানা হরতাল আর অবরোধ চলাকালে অজ্ঞাত স্থান থেকে সংবাদ সম্মেলন করে গ্রেফতার হন যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী। ১০ মাস ৮ দিন কারাবাসের পর বছর শেষে ছাড়া পান তিনি। এছাড়া অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবৃতি পাঠিয়ে ১০ মার্চ নিখোঁজ হন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ।সন্ধান পাওয়ার আশা যখন প্রায় শেষ পর্যায়ে তখন ভারতের শিলংয়ে সন্ধান মেলে নিখোঁজ এই নেতার। এরই মাঝে কেটে যায় তিনমাস।অপরদিকে, ২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে চোখ এবং পায়ের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানেই কাটে তার বেশ কিছু সময়। এসময় অভিভাবক শূণ্য দলে দেখা দেয় হতাশা। এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নেন দলের কূটনৈতিক সম্পর্করক্ষাকারী ও সমন্বয়কারী সমশের মবিন চৌধুরী।এছাড়া ৭১ এ যুদ্ধাপরাধের দায়ে দলের ডাকসাইটের নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসিও হয় এই বছর। বছরে বিরতি দিয়ে দু’দফা জেল খাটেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একসঙ্গে খালেদা জিয়ার বছর কাটে দুর্নীতি মামলার হাজিরা দিয়ে। ৩০ নভেম্বর নাইকো দুনীতি মামলায় নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তিনি।সর্বশেষ পৌর নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নেয়ার গুঞ্জন থাকলেও রোষানলের ভয়ে শেষ অবদি মাঠে নামছেন না দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কারণ বছরের মাঝামাঝিতে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় পরপর তিনদিন হামলার শিকার হন তিনি।এমএম/এএইচ/এমএএস/আরআইপি

Advertisement