সাধারণত যিনি দাওয়াত দিয়ে আয়োজন করেন তিনি মেযবান। আর যিনি দাওয়াত কবুল করে সাড়া দেন তিনি মেহমান। ব্যক্তি-পরিবার-সমাজে সাধারণত এক আত্মীয় অপর আত্মীয়কে দাওয়াত করে। আদর-যত্ন করে উত্তম খাবার-দাবার পরিবেশন করে। আবার অনাত্মীয়ের মধ্যে দাওয়াত ও কুশল বিনিময় হয়। মেযবানও মেহমানের জন্য সাধ্যানুযায়ী আয়োজন করে থাকেন। এ জন্য হাদিসে মেহমানের জন্য দোয়া করার নির্দেশনা এসেছে-হজরত ইবনু বুসর বলেন, একবার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বাড়ীতে আসেন। আমার আব্বা মেহমানদের জন্য খেজুর ও রুটি পেশ করেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে তিনি যখন রওয়ানা হলেন, তখন আমার পিতা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আরোহীর লাগাম ধরে বললেন, আমাদের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করুন। তখন তিনি বলেন-উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফিমা রাযাক্বতাহুম ওয়াগফিরলাহুম, ওয়ারহামহুম। (মুসলিম, মিশকাত)।অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে যে রিযিক প্রদান করেছেন, তাতে তাদের জন্য বরকত প্রদান করুন। তাদর পাপসমূহ ক্ষমা করুন এবং তাদের প্রতি রহমত নাজিল করুন।সুতরাং সকল উম্মাতে মুসলিমাই পরস্পরের দাওয়াতে অংশ গ্রহণ করলে যিনি মেহমান হবে তার জন্য মেযবানের কল্যাণে রাসুলের শিখানো ভাষায় দোয়া করা একান্ত জরুরি ও কল্যাণকর কাজ। আল্লাহ তাআলা সবাইকে হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি
Advertisement