স্বাস্থ্য

হাসপাতাল নাকি রাজনৈতিক দলের অফিস!

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ফটক দিয়ে প্রবেশকালে ক্যাজুয়েলটি ব্লক ভবনটির দিকে দৃষ্টি পড়লে ভুল করে কেউ এটিকে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় মনে করলে অত্যুক্তি করা হবে না। ভবনটি জুড়ে টানানো বিভিন্ন চিকিৎসক নার্সদের ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের ব্যানার, পিকনিকের বিজ্ঞপ্তি ও কর্মশালা, ঈদ ও পূজার শুভেচ্ছার পোস্টার দেখে বোঝার উপায় নেই এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ভবন। সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, শুধু জরুরি বিভাগের ভবনের দেয়ালেই নয়, হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট, আউটডোর এমনকি ইনডোরের বিভিন্ন দেয়ালে হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসক নার্স ও কর্মচারীদের নামের প্রচারপ্রচারণামূলক ব্যানার পোস্টার লাগানো হয়েছে। ফলে ঐতিহ্যবাহী এ হাসপাতালের পরিবেশ মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে। যে সকল অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এগুলো দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে সেগুলো ইতোমধ্যেই পালিত হয়ে গেছে। হাসপাতালের সৌন্দর্যহানি ঘটিয়ে দিনের পর দিন এগুলো ঝুলতে দেখা গেলেও তা অপসারণের কোনো উদ্যোগ নেই। জরুরি বিভাগের দেয়ালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকিরের বিশাল সাইজের কয়েকটি পোস্টার ঝুলতে দেখা যায়। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সম্মেলন উপলক্ষে তিনি সেখানে ওই পোস্টারগুলো লাগালেও আজও খোলার প্রয়োজন মনে করেননি। হাল আমলে গঠিত স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ (স্বানাপ), স্বাধীনতা ইন্টার্ন নার্স পরিষদ, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজম্ম নার্সেস পরিষদ, মৃত্যুবাষির্কী, কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে বৃহত্তর নোয়াখালি কর্মকর্তা কর্মচারীর ব্যানার ঝুলতে দেখা যায়। এছাড়া বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রবেশ পথের দেয়াল জুড়ে পোস্টার ঝুলতে দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক প্রবীণ চিকিৎসক ও কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতালের ভেতরে বাইরে এভাবে পোস্টার ও ব্যানার লাগিয়ে রাখা শুধুমাত্র এদেশেই সম্ভব। ক্ষমতাসীন দলের চিকিৎসক ও নার্স নেতাদের  যেন প্রশাসনও সমীহ করে চলে। হাসপাতালের পরিবেশ বজায় রাখতে অবিলম্বে তারা এ সব জঞ্জাল অপসারণের জোর দাবি জানান। এমইউ/একে/এএইচ/আরআইপি

Advertisement