টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জেলা কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পার হলেও মামলার একমাত্র আসামি রেদওয়ানার স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন মিজানকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
Advertisement
২২ মার্চ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে কন্যাসন্তান জন্ম দেন রেদওয়ানা ইসলাম। ২৭ মার্চ বিকেলে হাসপাতালের দোতলায় ১১ নম্বর কেবিন থেকে মুখে বালিশচাপা ও গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রেদওয়ানা ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে মির্জাপুর থানা পুলিশ। এসময় তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজান পালিয়ে যান।
দেলোয়ার হোসেন মিজান পাবনা সদর থানার হেমায়েতপুর চরভাঙ্গারিয়া গ্রামের মো. এলাহী মোল্লার ছেলে। তিনি স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক ভোলা সদরের মহাজনপট্টি শাখায় কর্মরত বলে জানা গেছে।
নিহত রেদওয়ানা ইসলাম রংপুর সদর থানার ইসলামপুর হনুমানতলার মৃত খন্দকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
Advertisement
রেদওয়ানার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের দুই বছর আগে মিজানের সঙ্গে বিয়ে হয় রেদওয়ানার। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে মিজান শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন রেদওয়ানার ওপর। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্যকলহ প্রকাশ্যে চলে আসে। কলহের জেরে সন্তান প্রসবের ৫ দিন পর ২৭ মার্চ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের কেবিনে মিজান রেদওয়ানাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে পরিবারের দাবি।
২৮ মার্চ নিহতের ছোট ভাই খন্দকার আরশাদুল আবিদ বাদি হয়ে রেদওয়ানার স্বামী মিজানকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ছয় মাস পার হলেও মিজান এখনও গ্রেফতার হননি।
মামলার বাদি খন্দকার আরশাদুল আবিদ বলেন, ছয় মাসেও আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় পরিবারের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেও কোনো ফল পচ্ছিনা। পুলিশের ওপর আস্থা নিয়ে অপেক্ষা করছি।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, এই হত্যা মামলার একমাত্র আসামি রেদওয়ানার স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজান গ্রেপ্তার হয়নি। সম্প্রতি মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টাঙ্গাইলে স্থানান্তরিত হয়েছে।
Advertisement
এস এম এরশাদ/ইউএইচ/এএসএম