দীর্ঘ ছয় বছর হলো সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ইতালির নাগরিক তাভেলা সিজার। এরপর হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মাথায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৬ সালে চার্জশিট দেয় ডিবি পুলিশ।
Advertisement
একই বছর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করতে আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে চলছে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ, যা এখনো শেষ হয়নি।
বর্তমানে আলোচিত এ মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে বিচারাধীন।
সবশেষ ২২ সেপ্টেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। ওই দিন মামলার দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তবে এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত পরবর্তী জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। এ পর্যন্ত মামলাটিতে মোট ৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪০ জনের জবানবন্দি এবং ৩৯ জনের জেরা শেষ হয়েছে।
Advertisement
এ বিষয়ে সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) তাপস কুমার পাল বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এ মামলার বিচারকাজ পিছিয়ে গেছে। অন্যথায় এটা এতো দিন শেষ হয়ে যেত। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। ১৪ অক্টোবর মামলার দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তার জেরার জন্য দিন ধার্য আছে। তার জেরা শেষ হলে মামলার বাদী ও শেষ তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। তাদের সাক্ষ্য নেওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হবে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। আশা করছি শিগগির এ মামলার বিচারকাজ শেষ হবে।
এর আগে ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিওবিডির কর্মকর্তা তাবেলা সিজার।
ওই দিনই তার সহযোগী আইসিসিওর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ হেলেন ভেন ডার বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২২ জুন ডিবি পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমসহ (কাইয়ুম কমিশনার) সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশ-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এ পরিকল্পনা করা হয়।
Advertisement
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কাইয়ুম কমিশনারের ভাই আবদুল মতিন, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল ওরফে শুটার রুবেল, রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কি রাসেল, মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগনে রাসেল, শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরিফ ও মো. সোহেল ওরফে ভাঙারি সোহেল।
আসামিদের মধ্যে কাইয়ুম কমিশনার ও ভাঙারি সোহেল পলাতক। এ ছাড়া গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে আবদুল মতিন ছাড়া বাকি চার আসামিই ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জামিনে রয়েছেন মতিন।
জেএ/জেডএইচ/এএসএম