দেশজুড়ে

ডেসটিনির লোকসানের টাকা তুলতে ছাত্রীর সার্টিফিকেট আটক

ডেসটিনিতে লোকসানের টাকা তুলতে নীলফামারীর ডিমলায় এক স্কুলছাত্রীর এসএসসি পাশের সার্টিফিকেট, প্রশংসাপত্র ও মার্কসিট আটক করে রেখেছেন প্রধান শিক্ষক।ঘটনাটি ডিমলা উপজেলার খগাবড়বাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের। আর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেন মারুফা বেগম লিজা। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর নাম লতিফা আক্তার কাজল।এদিকে গত ৫ বছর ধরে অসহায় ওই ছাত্রী বার বার স্কুলে ধর্ণা দিয়েও কাগজপত্র না পাওয়ায় কোনো উপায় না পেয়ে রোববার ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিমের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ছাত্রীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষিকা মারুফা বেগম লিজা তার প্রাক্তণ ছাত্রী লতিফা আক্তার কাজলের ২০১০ সালে পাশকৃত এসএসসির সার্টিফিকেট, প্রশংসাপত্র ও মার্কসিট দীর্ঘদিন ধরে আটক করে রেখেছেন। এ কারণে কাজলের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কাগজপত্র উদ্ধারে কাজল বার বার স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক তাকে বলেছেন, তোমার সঙ্গে আমার অনেক বোঝাপড়া আছে। তাই তোমাকে সার্টিফিকেটসহ কোনো কিছুই দেব না। এ ঘটনায় খগাবড়বাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মারুফা বেগম লিজা বলেন, ওই ছাত্রীর মা আছিয়া বেগম ডেসটিনির সদস্য ছিলেন। তার প্রস্তাবে পরে আমিও ডেসটিনির সদস্য হয়। সদস্য হওয়ার পর তার মাধ্যমে অন্যান্য সদস্যদের ৫০ হাজার টাকা খোঁয়া যায় ডেসটিনিতে। ওই টাকা না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ছাত্রীর সার্টিফিকেটসহ কোনো কিছুই দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। ভুক্তভোগী ছাত্রী কাজলের মা আছিয়া বেগম জাগো নিউজকে বলেন, আমার মেয়ে প্রয়োজনীয় এসব কাগজপত্রের  জন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেনি। আর ডেসটিনির টাকা আত্মসাৎ করেছে কোম্পানি।ডিমলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহসান হাবিব জাগো নিউজকে জানান, ছাত্রীর উচ্চশিক্ষার পথ রুদ্ধ করে সার্টিফিকেট আটকানোর কোনো নিয়ম নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পত্র পেয়েছি। সার্টিফিকেট উদ্ধারে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।জাহেদুল ইসলাম/এমএএস/পিআর

Advertisement