দেশজুড়ে

উত্তরাঞ্চলে বিএনপির বিদ্রোহীদের দুই দিনের আল্টিমেটাম

উত্তরাঞ্চলে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীদের আগামী দুই দিনের মধ্যে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও কেউ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। রোববার বগুড়া জেলা বিএনপি কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির আঞ্চলিক নির্বাচন মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বগুড়াসহ সারাদেশে সরকার দলীয় প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। অনেক এলাকায় বিএনপি প্রার্থীকে মারপিট করা হচ্ছে। পোস্টার ছিঁড়ে আগুন দেয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এবং রিটার্নিং অফিসারকে বলেও কোনো কাজ হচ্ছেনা। এই অবস্থায় নির্বাচনী মাঠে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। অথচ এখনো প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারেনি। তবে শত নির্যাতনের পরেও বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে বলেও জানান তিনি।সংবাদ সম্মেলন থেকে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে সব বিদ্রোহী প্রার্থীকে পত্রিকায় ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা দলের নির্দেশ অমান্য করবেন তাদের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।বগুড়া পৌরসভার বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী (বর্তমান মেয়র) অ্যাড. এ কে এম মাহবুবর রহমান জানান, আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীর লোকজন ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে আগুনে পুড়িয়েছে। এ বিষয়ে থানায় জিডি এবং রিটার্নিং অফিসারকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে কারাবন্দি তিন কাউন্সিলর প্রার্থী সিপার আল বখতিয়ার, মেহেদী হাসান হিমু ও মাসদু রানার নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বাধার মুখে তাদের পক্ষে প্রচারণা চালানো যাচ্ছেনা। তিনি এসব বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এদিকে, সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে নির্বাচন মনিটরিং কমিটির সভায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের তোপের মুখে সভাস্থল ত্যাগ করেছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলম। শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ এনে নেতাকর্মীরা তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে। পরে আঞ্চলিক নির্বাচন মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।     লিমন বাসার/এআরএ/পিআর

Advertisement