বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দলনেতাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
অপর এক রুলে, গ্রাম প্রতিরক্ষা দল আইন-১৯৯৫ এ বর্ণিত চাকরি বিধি ও প্রবিধানমালা প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিরক্ষা বিভাগের সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব ও আনসার ভিডিপি মহাপরিচালকসহ আটজনকে।
সিরাজগঞ্জের গ্রাম প্রতিরক্ষা দলনেতা মুহাম্মদ শেখ ফরিদসহ ২৬ জনের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
Advertisement
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তার সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ কাওছার এবং মো. মাজেদুল কাদের।
এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তখন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ৬ জুন তাদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী মো. মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, মোহাম্মদ কাওছার এবং মো. মাজেদুল কাদের রিটটি করেন।
রিটে বলা হয়, ইউনিয়ন দলনেতার পদ দুটি আইনের সৃষ্ট পদ। তাই তারা সরকারের রাজস্ব থেকে বেতন পাওয়ার অধিকারী এবং জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু অদ্যাবধি তাদের জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত করে বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়নি। যা আইনের ব্যত্যয় এবং তাদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
রিটে আরও বলা হয়, বর্তমানে একজন ইউনিয়ন দলনেতা-দলনেত্রী মাসিক দুই হাজার ৩০০ টাকা বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন। যা শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত সর্বনিম্ন বেতনের চেয়ে অনেক কম। অথচ তারা ৫০টিরও বেশি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। দুর্যোগময় মুহূর্তে সরকারের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। অথচ তারা ন্যায্য বেতন এবং সম্মান পাচ্ছেন না। যেটা বাংলাদেশের সংবিধানের লঙ্ঘন।
Advertisement
দীর্ঘ ২৫ বছরেও কোনো ধরনের চাকরি বিধিমালা না হওয়ায় গ্রাম প্রতিরক্ষার ইউনিয়ন দলনেতা-দলনেত্রীরা এবং অন্যান্য সদস্যরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে রিটে উল্লেখ করা হয়।
এফএইচ/জেডএইচ/এএসএম