যশোর পৌরসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপির আশঙ্কা করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মারুফুল ইসলাম। পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণায় তার কর্মীদের বাধা প্রদান, লাঞ্ছিত ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ করেছেন তিনি। এসব বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। রোববার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান মেয়র প্রার্থী মারুফুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে মারুফুল ইসলাম বলেন, যশোর পৌরসভায় এবারের নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন কিনা, সুষ্ঠু ভোট হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোর শহরে চিহ্নিত ও তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী ক্যাডারদের জড়ো করা হচ্ছে। তারা বিভিন্ন কলেজের আবাসিক হলগুলোতে অবস্থান নিয়েছে। এরা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ধানের শীষের প্রচারকর্মী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রচার প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। মেয়র মারুফ অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রচারণাকালে শহরের পোস্টঅফিস পাড়ায় তার স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করে হ্যান্ডবিল কেড়ে নেয়া হয়েছে। রায়পাড়ায় নারী কর্মীদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। শহরের বিভিন্নস্থানে ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এসব কারণে নির্বাচনে তিনি সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের আগের রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে তা বাক্সে ভরে রাখা হয়েছিল। পৌর নির্বাচনেও এ আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগের দিনের পরিবর্তে ভোটগ্রহণের দিন সকালে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার ও বাক্স প্রেরণের দাবি জানান তিনি। এসব দাবি তিনি রিটার্নিং অফিসার বরাবর করেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রফিকুর রহমান তোতন, প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট ইসহক, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু প্রমুখ। মিলন রহমান/এমএএস/পিআর
Advertisement