টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হতে না হতেই সফরে আসবে পাকিস্তান। তার আগে যাতে টেস্ট স্পেশালিস্টরা ভালভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন, সে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ কারণে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি জাতীয় লিগ শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
Advertisement
যদিও দিন-তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে আগামী মাসের মাঝামাঝি (১৭ অক্টোবর থেকে) যখন ওমানে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব, ঠিক প্রায় একই সময়ে দেশে শুরু হবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর জাতীয় লিগ।
এবার যাতে দল ও ক্রিকেটাররা একটু বেশি সময় নিয়ে জাতীয় লিগ খেলতে পারে, সে জন্য এরই মধ্যে প্রতি বিভাগে ২২ জনের খেলোয়াড় তালিকা পাঠানো হয়েছে। এখন ফিটনেস ট্রেনিং চলছে। সেখান থেকে ১৬ জনকে বেছে নেয়া হবে।
আজ রোববার নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন দিয়েছেন এ তথ্য। সাংবাদিকদের সাথে আলাপে তিনি জানান, এবার আমরা একটু সময় নিয়েই এনসিএল শুরু করতে যাচ্ছি। দলগুলোকে যথেষ্ট সময় দেয়া হচ্ছে। সাধারণত যখন এনসিএল শুরু করি, দলগুলো খুব একটা সময় পায় না। এবার প্রস্তুতির জন্য এক মাসের সময় পাচ্ছে। আপনারা জানেন, ২০-২২ জনের একটা টিম করে দেয়া হয়েছে। এখন ফিটনেস ট্রেনিং চলছে। ১ অক্টোবর থেকে ফিটনেস টেস্ট হবে। এর আগে ওরা ট্রেনিংয়ের সুযোগ পায়নি। এবার সুযোগটা করে দেয়া হয়েছে। ফিটনেস টেস্টের পর আমরা ১৬ জনের দল করে ফেলবো।’
Advertisement
প্রতিবার ১৪ জনের দল, এবার কেন ১৬ জনের? বাশারের জবাব, ‘সবসময় আমরা ১৪ জনের দল দেই। এবার করোনার জন্য দুইজনের বেশি দিচ্ছি।’
এদিকে জাতীয় লিগের দলগুলোকে প্রস্তুতির সময়ও বেঁধে দেয়া হয়েছে। তা জানিয়ে নির্বাচক বাশার বলেন, ‘এরপর ওরা টুর্নামেন্টে চলে যাবে। তাদের স্কিল ট্রেনিং পাঁচ তারিখে শুরু হয়ে যাবে। সবাই যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন প্রস্তুতির জন্য। যেহেতু উইকেটগুলোও পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেয়েছে কিছু দিনে। আশা করছি এবারের এনসিএল খুব প্রতিযোগিতামূলক হবে।’
বাশার জানান, বিশ্বকাপের পরপরই আমাদের কিছু টেস্ট ম্যাচ আছে। এবারের জাতীয় লিগ খেলোয়াড়দের তৈরি করার জন্যে ভালো একটি ভাল প্লাটফর্ম বলে মনে হয় তার। আমরা খুব একটা টেস্ট খেলার সুযোগ পাইনি। অনুশীলন ম্যাচ আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের মধ্যে তো পার্থক্য অবশ্যই আছে। পাকিস্তান সিরিজের আগের এনসিএলের মাধ্যমে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি হবে বলে মনে করি।’
‘আমাদের এই এনসিএলটা যখন শুরু হয়ে বন্ধ হয়ে গেল, তার পেছনে বড় কারণ ছিল ট্রাভেলিং। আমরা চাই যেন হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে খেলতে পারি। সবাই সবার বিভাগে গিয়ে খেলুক। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে কিন্তু আইপিএলের মতো অবস্থা তৈরি হয়। আমরা সবাই জানি, কোভিডের সঙ্গে আমাদের এখনো লড়াই করতে হচ্ছে।’
Advertisement
‘ট্রাভেলিংটা একটু ঝুঁকিপূর্ণ। ট্রাভেলিং করতে গিয়েই গতবার আমাদেরকে লিগ বন্ধ করতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত যতদূর জানি দুইটা ভেন্যুতে খেলা হবে। একটা কক্সবাজার, আরেকটা সিলেটে। পরিস্থিতি উন্নতি হলে আমরা নতুন করে চিন্তা করতে পারব। এখন পর্যন্ত জানি দুইটা ভেন্যুতে খেলা হবে। দুইটা দল হবে, দুইটা গ্রুপ হবে। দুইটা দল দুইপাশে হবে। হয়তো চেঞ্জ হতে পারে, সম্ভাবনা কম। যারা যেখানে থাকবে, তারা সেখানে খেলবে। দুইটা ভেন্যু। একটা ভেন্যুতে চারদল, আরেক ভেন্যুতে আরেক দল।’
এআরবি/আইএইচএস/