দেশজুড়ে

ভেঙে ছোট হয়ে যাচ্ছে দুই গ্রাম, তবুও ঘুমিয়ে কর্তৃপক্ষ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদীর কোলঘেঁষে গড়ে উঠেছে লংকারচর ও চরছাতিয়ানি নামে দুটি গ্রাম। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই ভাঙনের কবলে পড়ে নদীবিধৌত গ্রাম দুটি। এবারও ভাঙনের মুখে পড়েছে লংকারচর ও চরছাতিয়ানি গ্রাম। উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে প্রায় ৩০০ পরিবারের।

Advertisement

সরেজমিন গ্রাম দুটি ঘুরে দেখা যায়, প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে নদীর তাণ্ডব। এরই মধ্যে ২০ থেকে ৩০টি পরিবারের প্রায় ৩০ একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের মুখে ৩০০ পরিবার। যে কোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে তাদের ঘরবাড়ি, সহায় সম্পদ। ফলে সীমাহীন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন তারা।

এলাকার মল্লিক মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, আমরা খুব আতঙ্কে আছি। ভয়ে রাতে ঘুমোতে পারছি না। কখন যে ঘরবাড়ি নদীতে ডুবে যায়, এই আতঙ্কে আছি।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবছরই লংকারচর ও চরছাতিয়ানি গ্রাম ভেঙে আয়তনে ছোট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দুর্দশার খবর কেউ রাখে না। জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত আমাদের কষ্ট দেখার জন্য আসেনি।

Advertisement

স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুল হাকিম মোল্যা জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিবছরই লংকারচর ও চরছাতিয়ানি গ্রাম দুটি ভাঙছে। অনেক পরিবার উদ্বাস্তু হচ্ছে। কিন্তু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।

ঘোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম ফারুক হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সাধ থাকলেও সাধ্যের অভাবে কিছু করতে পারছি না। নদীশাসনের ব্যবস্থা না থাকায় গ্রাম দুটির অস্তিত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেপ হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সন্তোষ কর্মকার জাগো নিউজকে বলেন, কাল-পরশুর মধ্যে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এন কে বি নয়ন/এসআর/জিকেএস

Advertisement