স্বাস্থ্য

কঠোর আন্দোলনে নামার হুমকি ডিপ্লোমা বেকার নার্সদের

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষার মাধ্যমে নার্স নিয়োগের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিবিএনএ)। তাদের দাবি আগের মতো বয়স ৩৬ পর্যন্ত প্রমার্জনা করে ডিপ্লোমা বেকার নার্সদের ব্যাচ, মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে নার্স নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে ২৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট শুরু করবেন। শুধু তাই নয়, এ সময়ের আগেও যদি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় তবে তাৎক্ষনিকভাবে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটে নামতে বাধ্য হবেন তারা। কেন তারা কঠোর আন্দোলনে নামছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বিডিবিএনএর মহাসচিব ফারুক হোসাইন জানান, দেশে বর্তমানে ১৮ হাজারেরও বেশি ডিপ্লোমা বেকার নার্স রয়েছেন। তাদের মধ্যে কমপক্ষে তিন হাজার নার্সের সরকারি চাকরির বয়স ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। ফলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হলে তারা অংশগ্রহনের সুযোগ পাবেন না। ফলে মানসিক হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে কেউ কেউ আত্মহত্যা করতে পারেন। যোগ্যতা থাকা স্বত্ত্বেও চাকরি না পাওয়ায় কোনো কোনো নার্সের সংসারও ভেঙে যেতে পারে। এছাড়া, বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে নার্স নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকার অপবাণিজ্য শুরু হবে। আমলা ও এক শ্রেণির সুবিধালোভী নার্স নেতারা নিয়োগের নামে অর্থ আদায় শুরু করবে। যা ডিপ্লোমা বেকার নার্সদের জন্য অভিশাপ বয়ে আনতে বলে তিনি মনে করেন। তাই তারা অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত ১০ হাজার নার্সের পদ সৃজন ও আগের মতো বয়স ৩৬ পর্যন্ত প্রমার্জনা করে ডিপ্লোমা বেকার নার্সদের ব্যাচ, মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ চান। আজ দুপুরে বিডিবিএনএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিনা আক্তারের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়। সমাবেশে ঢাকা কেন্দ্রীয় ও মহানগরসহ বিভিন্ন বিভাগ, জেলার নেতারা অংশগ্রহন করেন।স্মারকলিপিতে বলা হয়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সচিব কমিটি ও মন্ত্রী পরিষদের সভায় নার্সদের চাকরির বয়স প্রমার্জনা করে ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৬ বছর করা হয় এবং পূর্বের মতো ব্যাচ, মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্যসচিবের সভাপতিত্বে নার্সদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ১০ হাজার নার্স নিয়োগের প্রথম স্তরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতেই তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।এমইউ/একে/পিআর

Advertisement