প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চার মাস পর সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৬ মে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৪১৪ জনে।
Advertisement
একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৯৮০ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৩৫১ জনে। এর আগের দিন (২৫ সেপ্টেম্বর) করোনায় ২৫ জনের মৃত্যু ও ৮১৮ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৮২০টি ল্যাবরেটরিতে ২১ হাজার ৭৭৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ২২ হাজার ২২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৬ লাখ ১৯ হাজার ১৫০টি। এতে শনাক্ত হয়েছেন ৯৮০ জন।
Advertisement
নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। এছাড়া গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৩ শতাংশ।
মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে পুরুষ সাতজন ও নারী ১৪ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৭ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন, ষাটোর্ধ্ব সাতজন, সত্তরোর্ধ্ব একজন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী দুইজন মারা গেছেন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে ঢাকা বিভাগের ১০ জন, চট্টগ্রামে চারজন, রাজশাহীতে দুইজন, খুলনায় একজন, সিলেটে তিনজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজনের মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন এক হাজার ৩১২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১১ হাজার ৪৭৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/এআরএ/জেআইএম