বিনোদন

নায়িকারা ছোট পোশাক পরায় আমাকে আর প্রয়োজন হয় না: রঞ্জিত

সিনেমায় এত এত ধর্ষণ দৃশ্যে অভিনয় করেছেন যে ইংরেজিতে তার নামই হয়ে গিয়েছিল ‘রেপ স্পেশালিস্ট’। বলিউডের ছবিতে কোনো ধর্ষণ অথবা যৌন হেনস্তার দৃশ্য থাকলে নায়িকারা নাকি তাকে নেয়ার জন্য পরিচালকদের পরামর্শ দিতেন।

Advertisement

প্রায় ২০০টির ওপর হিন্দি ছবিতে তিনি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বলা হচ্ছে অভিনেতা রঞ্জিত বেদীর কথা। সবার কাছে রঞ্জিত নামেই তিনি বেশি জনপ্রিয়।

সম্প্রতি ‘কপিল শর্মা শো’-তে এসে নিজের অভিনয় জীবন এবং সত্তর ও আশি দশকের চলচ্চিত্র জগতের ছবিটি তুলে ধরলেন।

সেখানে তিনি জানান, ‘শর্মিলি’ ছবিতে রাখি গুলজারের সঙ্গে তার দৃশ্য দেখে বাবা-মা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। রঞ্জিতের কথায়, ‌‘রাখির চুল ধরে টানছি, শাড়ি টেনে ছিঁড়ে দিচ্ছি। এসব দেখে মা-বাবা বলেছিল, আমি বাবার নাম খারাপ করছি। এমনকি অমৃতসরে আমাদের দেশের বাড়ির প্রতিবেশীদের সমালোচনায় আগেভাগেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তারা।’

Advertisement

তাও নায়িকারা রঞ্জিতের সঙ্গে কাজ করতেই বেশি স্বচ্ছন্দ ছিলেন। বিশেষ করে ধর্ষণ অথবা যৌন হেনস্তার দৃশ্যগুলোতে রঞ্জিতের ওপরই বেশি ভরসা রাখতেন নায়িকারা।

রঞ্জিতের কথায় জানা গেছে, সেই সময় চিত্রনাট্য নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না শিল্পীদের। এমনকি নায়করাও এক পঙক্তির গল্প শুনেই প্রস্তাব গ্রহণ করতেন।

রঞ্জিত বললেন, ‘আমি সবসময় আমার সহ-অভিনেত্রীদের অস্বস্তি দূর করার চেষ্টা করতাম। তাই আমার নামই হয়ে গেলো ‘রেপ স্পেশালিস্ট’। সেই সময় এই গোছের দৃশ্যকে ‘অশ্লীল’ তকমা দেওয়া হতো না। নায়ক, নায়িকা, খলনায়ক, মা, বাবা, বোন- সব চরিত্রের গতানুগতিক ধারা ছিল।’

ওই সময়ের সিনেমায় ধর্ষণ দৃশ্যগুলোও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করেন তিনি। ভিলেন নায়িকার পোশাক ধরে টানছে এই দৃশ্য দেখলে দর্শক ক্ষেপে যেতেন। তারাই তখন নায়ক হয়ে নায়িকাকে বাঁচাতে চাইতেন। সিনেমাটা জমে যেত।

Advertisement

সাক্ষাৎকারে তিনি মশকরা করে আরও বলেন, ‘তবে যেদিন থেকে নায়িকারা ছোট পোশাক পরা শুরু করলেন, সেদিন থেকে আমার আর প্রয়োজন পড়ল না সিনেমায়। ছোট পোশাক টেনে খুলে ফেলা তো দরকার পড়ত না আর।’

রঞ্জিতের বক্তব্য শুনে কপিলের শো-তে সবাই হেসেই খুন। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও ক্লিপটিও।

এলএ/জিকেএস