দখলদার ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে গোপন একটি তেল চুক্তি হয়েছে। ওই চুক্তির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠনের উদ্যোগে গতকাল এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়া ট্যুডে।
Advertisement
গত ১৪ আগস্ট বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এই চুক্তির খবর প্রকাশের পর পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এর বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরিতে মাঠে নামে। ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সই হওয়া চুক্তি অনুসারে- অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের এইলাত সমুদ্র বন্দরকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের তেল রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পরিণত করা হবে।
সেখান থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোর বাজারে যাবে আমিরাতি তেল। কিন্তু পরিবেশবাদীরা বলছেন, এতে ওই এলাকার পরিবেশগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে এই চুক্তি হয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য যে কথিত ডিল অফ দ্য সেঞ্চুরি বা শতাব্দীর সেরা চুক্তি উন্মোচন করেন তার আওতায় আবুধাবি ও তেল আবিবের মধ্যে এই চুক্তি সই হয়। ফিলিস্তিনি জনগণ এবং আরব বিশ্বের বহু দেশ ও সংগঠন ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছে।
Advertisement
এদিকে, ফিলিস্তিনের দখলকৃত অঞ্চল ছাড়তে ইসরায়েলকে এক বছরের সময় দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। যদি ইসরায়েল এতে ব্যর্থ হয় তাহলে তাদের স্বীকৃতি প্রত্যাহারেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভার্চ্যুয়াল বক্তব্যের সময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই হুঁশিয়ারি দেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। মাহমুদ আব্বাস বলেন, যদি ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চল ছেড়ে যেতে ইসরায়েল অস্বীকৃতি জানায় তবে তিনি আর ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবেন না। অধিকৃত ওই অঞ্চলে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় ফিলিস্তিন।
টিটিএন/এমএম
Advertisement