জাতীয়

বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ‘ইউএন হাই লেভেল ডায়ালগ অন এনার্জি’ সংলাপে এক ভিডিও বার্তায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Advertisement

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘বায়ু বিদ্যুৎ নিয়ে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে। নয়টি সাইটে বায়ুর ম্যাপিং করা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই অফশোর বায়ুর সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করা হবে। নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ভাগ ২০৫০ সালের মধ্যে আমাদের উৎপাদন মিশ্রণের ৪০ শতাংশ করতে চাই। এজন্য বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হচ্ছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে ২ কোটির বেশি গ্রামীণ অফগ্রিডের জনগণ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্যান্য নাবায়নযোগ্য জ্বালানির মধ্যে সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু জমি বেশি লাগে বিধায় সৌরবিদ্যুতের জন্য উদ্ভাবনী সমাধান প্রয়োজন। যদিও আমরা ছাদে সৌর এবং ভাসমান সৌর প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছি। ছাদ সৌরবিদ্যুতকে জনপ্রিয় করার জন্য নেট মিটারিং সিস্টেম প্রবর্তন করা হয়েছে।’

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বছরভিত্তিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্পদ মূল্যায়ন ও নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রোডম্যাপ-২০৩০ অনুসারে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সৌরবিদ্যুতের জন্য খসড়া রোডম্যাপ-২০৪১ নিয়ে পর্যালোচলা করা হচ্ছে।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুতের বেস লোড উৎপাদনের জন্য এলএনজি এবং পারমাণবিক শক্তি চালু করা হচ্ছে। বিদ্যুতের আমদানিকেও যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছি। ভারত থেকে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ নেপাল এবং ভুটান থেকে হাইড্রোবিদ্যুৎ এবং ভারত থেকে সৌরবিদ্যুৎ আমদানি করতে চায়।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, জাতিসংঘের উচ্চস্তরের সংলাপে সরকারি ও বেসরকারি খাতে ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি নতুন অর্থায়ন ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। নতুন প্রতিশ্রুতির ফলে নাবায়নযোগ্য জ্বালানির ইনস্টল ক্ষমতা এবং জ্বালানি দক্ষতার উল্লেখযোগ্যহারে উন্নতি হবে। ফলে লাখ লাখ নতুন সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

আরএমএম/ইউএইচ/এমএস

Advertisement