ইসরায়েলের তৈরি হ্যাকিং সফটওয়্যার পেগাসাস ফের আলোচনায় এসেছে। পেগাসাস ব্যবহার করে এবার ফ্রান্সের মন্ত্রীসভার পাঁচ সদস্যের ফোন হ্যাক করার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে দেশটির সরকার। ফ্রান্সের নিরাপত্তা সংস্থার বরাত দিয়ে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার(২৩ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মিডিয়াপার্ট।
Advertisement
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের শিক্ষা, আঞ্চলিক সংহতি, কৃষি, গৃহায়ণ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মোবাইল ফোনে পেগাসাস স্পাইওয়্যারের অবস্থানের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি মূলত ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ঘটেছে। যদিও ফ্রান্স সরকার সরাসরি এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০১৯ সাল থেকে ‘দ্য পেগাসাস প্রজেক্ট’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফোনে নজরদারির বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একটি অনুসন্ধানী টিম। ১৭টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অনুসন্ধানের একটি রিপোর্ট দুই মাস আগে প্রকাশিত হয়। এরপরই পুরো বিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়।
ফরেনসিক বিশ্লেষণে উঠে আসে যে, স্মার্টফোনের তথ্য হ্যাক করে পেগাসাস স্পাইওয়্যার। ফলে নজরদারির শিকার হন মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিক, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ৫০ হাজার ফোন হ্যাক করে নেওয়া হয়। আড়িপাতা হয় ১৮০ জন সাংবাদিকের ফোনেও।
Advertisement
পেগাসাস স্পাইওয়্যারের ফাঁদে পড়েন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁও। পরে ফোন বদলে ফেলেন এই ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
যদিও বরাবরের মতোই পেগাসাস স্পাইওয়্যারের বিক্রেতা ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান এনএসও দাবি করে, এই হ্যাকিংয়ের সঙ্গে তারা যুক্ত নয়। তারা শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বাছাইকৃত সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এই প্রযুক্তি বিক্রি করে আসছে।
এসএনআর/টিটিএন/এমএস
Advertisement