চীনবিরোধী জোট হিসেবে পরিচিত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ঘিরে গঠিত কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ-এর (কিউএসডি বা কোয়াড) নেতাদের সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর)। হোয়াইট হাউজে এ বৈঠকে অংশ নেন কোয়াড নেতারা। সদস্য দেশগুলোর নেতাদের আলোচনায় উঠে এসেছে মূল চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
হোয়াইট হাউজের এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপান- এ চার দেশের জোট ‘কোয়াড’ নেতারা করোনা(কোভিড-১৯) টিকার সহযোগিতাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে একমত হন। ওয়াশিংটনে বৈঠক শেষে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি আরও জানান, চার নেতাই প্রতিবছর এমন বৈঠক করার জন্য সম্মত হয়েছেন।
ইন্দো-প্যাসিফিক এই জোটের এটাই প্রথম সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো শুক্রবার। দুই ঘণ্টার এ বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল করোনাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা ও এ অঞ্চলে চীনের আধিপত্য বিস্তার ঠেকাতে একসঙ্গে কাজ করা নিয়ে আলোচনা করা।
বৈঠকের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চারটি সদস্য দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিতের (এসটিইএম) ওপর ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করার ঘোষণা দেন।
Advertisement
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, কোয়াডের স্থায়ীত্বের সঙ্গে সঙ্গে মূল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করবে সদস্য দেশগুলো। করোনা মহামারি শুরু করে জলবায়ুসহ অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবেন তারা। তিনি আরও বলেন, আমরা জানি কিভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। এদিকে, শুক্রবারের এ বৈঠক নিয়ে সমালোচনা করেছে চীন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রস্তাবে ২০০৭ সালে কোয়াড গঠিত হয়। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এ জোটের অংশীদার ছিলেন সেসময়। শুরুর দিকে এটি নিষ্ক্রিয় থাকলেও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে, ২০১৭ সালের পর থেকে এটি আবার সক্রিয় করতে তৎপর হন নেতারা। এখন জো বাইডেন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে আরও তৎপরতা শুরু করেছেন, বলছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এসএনআর/এমএস
Advertisement