দেশজুড়ে

যশোরে সরকারি জমি জালিয়াতির ৪১ বছর পর মামলা

যশোরে সরকারি জমি জালিয়াতির ৪১ বছর পর আট জালিয়াতের নামে মামলা করা হয়েছে। শার্শার ঐতিহ্যবাহী কাছারি বাড়ির সরকারি জমি গোপনে ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে নেওয়ায় ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।

Advertisement

সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) কাজী বাহাউদ্দিন ইকবাল বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আদালতে মামলা দাখিল করেন। বিচারক আসামিদের প্রতি সমন জারি করে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি মামলার দিন ধার্য করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন-শার্শার মোড়লপাড়ার ফজলুর রহমানের পাঁচ ছেলে জসিম উদ্দিন, করিম হোসেন, মনির হোসেন, ইমাম হোসেন ও শাহিনা খাতুন, নুরুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা খাতুন, ফজলুর রহমানের স্ত্রী রেহেনা খাতুন ও মমতাজ বেগম।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শার্শা উপজেলার ৭২ নম্বর শার্শা মৌজার সাবেক ১২৫৫ দাগের ৩৫ শতক সরকারি জমি ফজলুর রহমান নামের এক ব্যক্তি প্রথমে একসনা বন্দোবস্ত নেন। এরমধ্যে ৩২ দশমিক ৬৩ শতক (প্রায় এক বিঘা) জমি ১৯৮০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নিজ নামে রেকর্ড করে নেন ফজলুর রহমান। প্রথমদিকে বিষয়টি গোপন থাকলেও তার মৃত্যুর পর ছেলে কবির হোসেন, জসিম উদ্দিন, মনির হোসেন ও ইমাম হোসেন সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ করে প্রকাশ্যে দখলে নেন। পরবর্তী সময়ে সরকারি ওই জমি কীভাবে ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড হলো তা নিয়ে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলা ভূমি অফিস থেকে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর এক পত্রে উল্লেখ করেন, কালেক্টরেট যশোরের নামে কাছারি বাড়ির বাস্তু শ্রেণির জমি। কাছারিবাড়ির জমি ধানি হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। ফজলুর রহমানের মারা যাওয়ার পর তার সন্তানদের নামে এ জমি রেকর্ড করা হয়। বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসককে জানিয়ে চিঠি দেন। এরপর যশোরের জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে এলএসটি মামলা করার জন্য সরকারের জিপিকে চিঠি দেওয়া হয়।

Advertisement

যশোর আদালতের জিপি কাজী বাহাউদ্দীন ইকবাল বলেন, চিঠি পেয়ে তিনি সরেজমিনে ঘটনাস্থলে যান। কাগজপত্র যাচাই করে দেখেন সরকারের কাছারি বাড়ির সম্পত্তি জাল দলিল করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, শার্শা মৌজার প্রিন্ট পর্চার রেকর্ড প্রকাশিত হলেও গেজেট বের হতে দেরি হয়। যে কারণে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা করতেও বিলম্ব হয়। বৃহস্পতিবার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালতে আটজনের নামে মামলা করা হয়েছে। বিচারক আসামিদের প্রতি সমন জারি করে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি মামলার দিন ধার্য করেছেন।

জামাল হোসেন/এসআর/এএসএম

Advertisement