ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত দুইজনের মধ্যে একজনের পরিচয় মিলেছে। তিনি হলেন- জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মিতালী এলাকার ওয়াহেদ মিয়ার ছেলে নাহিদ। নিহত অপরজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
Advertisement
এ ঘটনায় আহত একজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার নাম রুবেল। তিনি ইসলামপুর উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের হিরো মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা থকে কমিউটার ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জ যাচ্ছিল। ট্রেনটি ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলস্টেশন ছাড়ার পর ট্রেনের ছাদের যাত্রীদের অনেকেই ডাকাতদলের কবলে পড়েন। চার-পাঁচজনের ডাকাতদলটি যাত্রীদের কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মোবাইল লুট করে ট্রেনের ইঞ্জিনের দিকে চলে যায়।
পরবর্তীতে ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের আগে কেওয়াটখালী ছাড়ার আগে ফারুক ও রফিকসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী এক হয়ে ট্রেনের ছাদে ডাকাতদের খুঁজতে যান। তারা ডাকাতদের চিনতে পেরে কিছু বলার আগেই ডাকাতরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে যাত্রী নাহিদ, রফিক, রুবেল ও অজ্ঞাত পরিচয়ের তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় ট্রেনের ছাদেই পড়ে থাকেন। পরে ডাকাতদল কেওয়াটখালী ওভারব্রিজে নেমে যায়।
Advertisement
রাত ১০টার দিকে ট্রেনটি জামালপুর রেলস্টেশনে পৌঁছালে গুরুতর আহত তিনজনকে ছাদ থেকে নামিয়ে জামালপুর সদর হাসপাতালে নেয় রেলওয়ে থানা পুলিশ। তাদের মধ্যে নাহিদ ও অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
জামালপুর রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো. মিলন মিয়া বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুবেলের ভাষ্য অনুযায়ী ট্রেনের ছাদে তারা ডাকাতদল বা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহতদের মরদেহ জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বিএ/এমএস
Advertisement