করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে সারা বিশ্বে আরও ১০ হাজার ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মাঝে যুক্তরাষ্ট্রেই মারা গেছেন তিন হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৫১৯ জন।
Advertisement
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় পরিসংখ্যানভিত্তিক আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৬১ জনের। আর মোট আক্রান্ত হয়েছে ২৩ কোটি তের লাখ ৯৭ হাজার ২৬৪ জন। এর মধ্যে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২০ কোটি ৮০ লাখ ৮২ হাজার ১০২ জন।
এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন চার কোটি ৩৫ লাখ ৩২ হাজার ৪৯১ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৭ লাখ ২ হাজার ৯৭৮ জন। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুর এ সংখ্যা ছিল ছয় লাখ ৯৯ হাজার ৭৪৮ জন।
Advertisement
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮০৩ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৯ জন।
তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা দুই কোটি ১৩ লাখ ৮ হাজার ১৭৮ জন। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ৯৩ হাজার ১৮ জন মারা গেছেন।
তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, তুরস্ক, ইরান, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৮ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩২০ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৩৩৭ জন। আর ১৫ লাখ সাত হাজার ৭৮৯ জন সুস্থ হয়েছেন।
Advertisement
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের অবস্থা আবারও খারাপ হচ্ছে।
এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ ও শিশুদেরও টিকাদান শুরু করেছে।
এমএইচআর/জিকেএস