কারওয়ান বাজারে আরও একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করা হবে। এক লাখ ২০ হাজার বর্গফুট স্পেসবিশিষ্ট ১২ তলা এই গ্রিন বিল্ডিং তৈরিতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পার্ক স্থাপনের জন্য বরাদ্দ জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১০ সালের ৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী কারওয়ান বাজারে ভিশন-২০২১ টাওয়ারটিতে (সাবেক জনতা টাওয়ার) একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক প্রতিষ্ঠার জন্য বরাদ্দ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একই বছরের ২৪ নভেম্বর টাওয়ারটি বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করে। বর্তমানে পার্কটিতে ১৯টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক হাজার জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়া এখানে ১৫টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান কাজ করে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ইতোমধ্যে জনতা টাওয়ারে দক্ষিণ পাশে অব্যবহৃত ০.৪৭ একর জমিতে ‘ভিশন ২০২১ টাওয়ার-২ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়ে। আনুষ্ঠানিকভাবে এ জমি হস্তান্তর করা হলো। এখানে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আমরা আশা করছি।
Advertisement
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এ এন এম সফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের অর্থায়নে ও বিশ্বব্যাংকের ঋণে মোট ৩৫৩ দশমিক ০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায় ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’ নামক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, এছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ, রাজউক এবং হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) সৈয়দ জহুরুল ইসলাম।
এইচএস/জেডএইচ/জেআইএম
Advertisement