শিক্ষা

দু-এক মাসের মধ্যে ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্নের আশা

৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল গত তিন মাস আগে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ না হওয়ায় আটকে আছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই শিক্ষক নিয়োগ। ভেরিফিকেশন রিপোর্ট পেলে আগামী দু-এক মাসের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে চায় এনটিআরসিএ।

Advertisement

বিধান অনুযায়ী, এনটিআরসিএ থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত এসব প্রার্থীদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুপারিশপ্রাপ্তদের ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য সংগ্রহে পুলিশ ভেরিরিফিকেশনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে তাদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডা. সৈয়দ ইমামুল হক বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষকদের সুপারিশের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। এখন প্রার্থীরা সময়মতো তাদের কাজ শেষ করলে পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। আশা করছি, আগামী দুই-এক মাসের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবো।

গত ৩০ মার্চ বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫৪ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি পদ আছে, যার মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ ২৬ হাজার ৮৩৮টি। মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে মোট ২০ হাজার ৯৯৬টি শূন্যপদ। এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিওভুক্ত। ২ হাজার ২০৭টি এমপিও পদে রিট মামলার বাদীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

Advertisement

এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীদের মধ্য থেকে ৩৮ হাজার ২৮৬ জনকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক সুপারিশপত্র ২৯ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায় এনটিআরসিএ।

এর আগে একই প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরও দুইবার শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয়। কোনোবারই প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়নি। কিন্তু এবার প্রথমবারের মতো এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী এনটিআরসিএ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ফরমের পাঁচ কপি পূরণ করে পাঠাতে নির্দেশনা দেয়। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা এনটিআরসিএতে পাঠানোর কথা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সবার প্রতিবেদন আসেনি বলে জানা গেছে।

এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, আশা করছি এ মাসেই আমরা সব ফাইল মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পারবো। ভেরিফিকেশনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশ সুপারের অফিস হয়ে ফাইলগুলো মাঠপর্যায়ে যাবে। এরপর ফের ঢাকায় ফেরত এলে আমরা কাজ করবো। এক্ষেত্রে কিছু সময় তো লাগবেই।

তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষক ফোরামের এক নেতা বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর ফল ঘোষণার প্রায় তিন মাসেও এখনো পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু না হওয়ায় আমরা সাধারণ প্রার্থীরা হতাশ। হবু শিক্ষকেরা মানসিক, আর্থিক ও সামাজিকভাবে প্রতিনিয়ত বিপর্যস্ত হচ্ছেন। অনেকেই ধার-দেনা, ঋণ করে আবেদন করেছিলেন সেই টাকা পরিশোধ করতে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে।

Advertisement

এমএইচএম/এমআরআর/এএসএম