বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি মাত্র কয়েকদিন আগেই পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড চালু করেছিল। ২০১৫ সালে যেভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন মাশরাফি, তাতে ভক্ত-দর্শকদের ভোট মাশরাফি বিন মর্তুজার ঘরেই যাবে, তা এক প্রকার অনুমিতই ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। ক্রীড়া লেখক সমিতির বর্ষসেরা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এনে ভক্তদের ভালবাসার পুরস্কার পেয়ে অভিভূত মাশরাফি। পুরস্কারটি নিয়ে তিনি বললেন, ‘দর্শকের ভালবাসায় আমি অভিভূত। যারা আমাকে ভোট দিয়েছে তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সারাজীবন দর্শকদের ভালবাসার প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করব’। শনিবার বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতির (বিএসপিএ) বর্ষসেরা পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন মাশরাফি। ক্রীড়ালেখক সমিতি ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরাদের পুরষ্কৃত করেছে। দর্শকদের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে মাশরাফি জিতেছেন ‘কুল বিএসপিএ রিয়েল স্পোর্টসম্যান অ্যাওয়ার্ড’পুরষ্কার।পুরস্কার গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমি খুব খুশি। দর্শকরা যে আমাকে কতটা ভালবাসে সে প্রমাণ আরও একবার পেলাম। এছাড়া বাংলাদেশের ক্রিকেট ও অন্যান্য প্রসঙ্গেও কথা বলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। বিপিএল ও আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, বিপিএল ও টি২০ বিশ্বকাপ দুটি আলাদা আসর। ভারতের উইকেটের সঙ্গে আমাদের তেমন মিল নেই। তবে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সেরাটা দিয়ে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করতে।’শুধু ক্রিকেটই নয়, অন্য খেলাগুলোতেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং সাফল্য নিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করবো শুধু ক্রিকেটই নয়, অন্যান্য খেলাতেও বাংলাদেশ সাফল্য পাবে। আমি মনে করি সে সামর্থ খেলোয়াড়দের আছে।’ বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির ২০১৩ সালের বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরষ্কার ‘এসএ মহসীন ট্রফি’পেয়েছেন ক্রিকেট দলের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। ওই বছর টেস্ট ক্রিকেটে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে দেশের হয়ে প্রথম ও একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। তারই স্বীকৃতি পেয়েছেন মুশফিক। তবে পারিবারিক কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি টেস্ট অধিনায়ক। যদিও ভিডিও বার্তায় সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।২০১৩ সালে অন্যান্য ক্যাটাগরিতে পুরষ্কারপ্রাপ্তরা হলেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার সোহাগ গাজী, বর্ষসেরা ফুটবলার মামুনুল ইসলাম, বর্ষসেরা দাবাড়ু ফাহাদ রহমান, বর্ষসেরা সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর, বর্ষসেরা ভারোত্তোলক জোহুরা আক্তার রেশমা, বর্ষসেরা আর্চার ইমদাদুল হক মিলন, বর্ষসেরা কোচ (ফুটবল) মারুফুল হক, বর্ষসেরা সংগঠক প্রয়াত কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, বর্ষসেরা পৃষ্ঠপোষক এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড, বর্ষসেরা উদীয়মান (ক্রিকেট) মুমিুনল হক ও বিশেষ সম্মাননা গোলাম সারোয়ার টিপু।২০১৪ সালের বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরষ্কার পান শূটার আব্দুল্লাহ হেল বাকি। এই বছরের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরষ্কার বাজিমাত করেন মুশফিকুর রহীম। অন্যান্য বিভাগে বিজয়ীরা হলেন, ফুটবলে নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, হকিতে হাসান যুবায়ের নিলয়, বর্ষসেরা কোচ (ফুটবল) গোলাম রব্বানী ছোটন, সেরা সংগঠক মনজুর কাদের, পৃষ্ঠপোষকতায় সেরা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, বর্ষসেরা উদীয়মান (ফুটবল) হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস ও বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন প্রমীলা এ্যাথলেট মিউরেল গোমেজ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিতি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement