সরবরাহে বৈষম্য তৈরি করায় করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনকারী ছয় শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এক প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ও প্রযুক্তি ভাগাভাগি করে নিতে অস্বীকারের মাধ্যমে নজিরবিহীন মানবাধিকার সঙ্কটের ইন্ধন দিচ্ছে উৎপাদনকারী ছয় প্রতিষ্ঠান।
Advertisement
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ‘বৈষম্যর ডাবল ডোজ’ নামে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ধনী দেশগুলোর পক্ষে কাজ করায় প্রতিবেদনে মানবাধিকার সংস্থাটি আস্ট্রাজেনেকা, বায়োএনটেক, জনসন অ্যান্ড জনসন, মডার্না, নোভাভ্যাক্স ও ফাইজারের নিন্দা জানায়।
গবেষণায় দেখা যায়, বিভিন্ন মাত্রায় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মানবাধিকারের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
Advertisement
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী পরিচালিত প্রায় ছয়শ কোটি টিকার মধ্যে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ গেছে নিম্ন আয়ের দেশে এবং ৭৯ শতাংশ গেছে উচ্চ-মধ্য ও উচ্চ আয়ের দেশে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, সব দেশকে টিকা দেওয়াই এ সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায়।
‘যারা অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে দ্রুত টিকা তৈরি করেছে তাদের অভিনন্দন জানানো উচিত। কিন্ত দুঃখজনকভাবে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে টিকা উৎপাদনের জ্ঞান ও প্রযুক্তি স্থানান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং ধনীদেশগুলোর পক্ষে কাজ করছে। যা সম্পূর্ণ ধ্বংসাত্মকভাবে অন্যদের জন্য টিকার অভাব তৈরি করেছে।’
অ্যামনেস্টি বলছে, সংস্থাটি প্রতিটি টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানির মানবাধিকার নীতি, টিকার মূল্য কাঠামো, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ডকুমেন্ট, জ্ঞান ও প্রযুক্তির ভাগাভাগি, টিকার ডোজের ন্যায্য বরাদ্দ পর্যালোচনা করছে।
Advertisement
এমএসএম/এএসএম